দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, লালকেল্লায় ঢুকে গেল যমুনার জল!
বাংলার জনরব ডেস্ক: রাজধানী দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কয়েক দিনের অবিশ্রান্ত বৃষ্টি এবং যমুনা নদীর জলোচ্ছ্বাসে রীতিমতো রাজধানী শহর জলমগ্ন বানভাসি। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টির পর কার্যত গোটা দিল্লি জলমগ্ন। এমনকী লালকেল্লায় পৌঁছে গিয়েছে বন্যার জল। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে ফ্রান্সে থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ংকর বন্যা পরিস্থিতিতে দিল্লি। শুক্রবার ওল্ড রেলওয়ে ব্রিজের কাছে যমুনার জলস্তর ২০৮.৪০ মিটারে উঠে যায়। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার (Flood) সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। এর ফলে ইতিমধ্যে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বহু রাস্তাকে মনে হচ্ছে নদী। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বাড়ির কাছের এলাকাও প্লাবিত। লালকেল্লার আশাপাশের রাস্তাগুলিও কার্যত নদীতে পরিণত হয়েছে।
কোথাও কোমর পর্যন্ত, কোথাও বুক পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা যাচ্ছে না। জমা জলের পরিমাণ ক্রমে বেড়েই চলেছে। এদিকে গোটা শহরে জল জমে থাকায় ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবাগুলিও ব্যাহত হচ্ছে। এমনকী বিশুদ্ধ পানীয় জলটাও পাচ্ছেন না দিল্লিবাসী। স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারিও বন্ধ। এই পরিস্থিতি রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে দিল্লির আপ সরকার এবং কেন্দ্রের দিল্লি সরকার যৌথভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসরে নেমেছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ঘটনাচক্রে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ফ্রান্সে। বৃহস্পতিবার রাতে সেখান থেকেই অমিত শাহকে ফোন করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, শুক্রবারের মধ্যে যমুনার জলস্তর নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যমুনার জলস্তর নামলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। প্রশাসন ২৪ ঘণ্টা বন্যা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।