জেলা 

গণনার রাতেও চলল গুলি ভাঙরে, মৃত আইএসএফ কর্মী, গুলিবিদ্ধ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এই হত্যা লীলার দায় কার!

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : অপদার্থ নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার নেতৃত্বে ভোট গণনার দিনও অশান্তি থেকে রক্ষা পেল না বাংলা। সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি বোমাবাজি হলেও রাজীব সিনহা তার রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন । এরকম অপদার্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের হাতে গণতন্ত্র যে সুরক্ষিত নেই তার বলার অপেক্ষায় রাখে না। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার অশান্ত কবলিত ভাঙরে রাতের অন্ধকারে খুন হয়ে গেল আইএসফের এক কর্মী। গুরুতর আহত আইএসএফের এক কর্মী।

এই এলাকার গায়ের জোরে মস্তান বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এমনিতেই প্রার্থী পদ জমা দিতেই দেয়নি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রার্থীদের। এরপরেও যে কয়েকটি পঞ্চায়েতে তারা প্রার্থী দিতে পেরেছিল সেখানে দেখা গেল মানুষের অফুরন্ত সমর্থন। খোদ আরাবুল ইসলামের পঞ্চায়েতে গো হারা হেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পোলেরহাট দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪টি আসনের মধ্যে ২৩ টি আসন পেয়েছে আইএসএফ জোট।

Advertisement

এরপর এই দিন সন্ধ্যেবেলা গণনা ছিল জেলা পরিষদের ভোট। সেখানেও দেখা যায় জেলা পরিষদের আসনে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে আইএসএফ প্রার্থী এগিয়েছিল তারপর থেকেই ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের নিলজ্জতায় এ রাজ্যের গণতন্ত্র কাঁদছে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। একটি জেলা পরিষদ আসনে যেখানে আইএসএফের প্রার্থী এগিয়ে আছে সে তাকেও জয় দেখাতে কোথাও একটা কুণ্ঠাবোধ করছে এ রাজ্যের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। গণনা কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে তাদের উপরে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

সেইগুলিতেই একজন আইএসএফ কর্মী মারা গেছেন ।গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হোসেন। এই মৃত্যুর দায় কার! এই রক্তের দায় কার ! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উঠে আসা এক নেত্রী তিনি কি বুঝতে পারছেন না? তিনি কি দেয়াল লিখন পড়তে পারছেন না? এই রাজ্যের সংস্কৃতি কোথায় গিয়ে পৌঁছাচ্ছে নাকি সব জেনেও নীরব রয়েছেন! এ রাজ্যে বিজেপিকে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য!

বাঙালি মুসলিম সমাজের রক্তে রাঙা এই পঞ্চায়েত নির্বাচন মনে রাখবে অনেক কিছুই। আগামী দিনে এই রাজ্যের শাসক দলের সবচেয়ে বড় শক্তি বাঙালি মুসলিম সমাজের ভোট ব্যাংকে যে সরে যাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এখনো সতর্ক না হন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এখনো সতর্ক না হন, তৃণমূল কংগ্রেসকে এই দুষ্কৃতি এবং লুটেরেদের হাত  থেকে মুক্ত করতে না পারেন তাহলে আগামী দিনে আরো বড় খেসারত দিতে হবে।

 

 

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ