কলকাতা 

‘বাঙালি হিসেবে লজ্জিত, মর্মাহত, মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়’ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে বেলাগাম সন্ত্রাস নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : গতকাল শনিবার রাজ্যের নবম পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে বেলাগাম সন্ত্রাস হয়েছে তা নিয়ে সচেতন নাগরিকরা প্রতিক্রিয়া দিলেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে উৎসবের মেজাজে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। শাসক দল দাবি করেছে বিরোধীরা বাংলার বদনাম করার জন্য এই অশান্তির সৃষ্টি করেছে শাসকদলের পক্ষ থেকে শশী পাঁজা কিংবা কুনাল ঘোষ যাই বলুক না কেন এবার মুখ খুললেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও দেব্রার তৃণমূল বিধায়ক প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবির। তিনি এই বেলাগম সন্ত্রাস দেখে বাঙালি হিসাবে লজ্জিত বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

আজ রবিবার হুমায়ুন কোভিদ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বাঙালি হিসেবে লজ্জিত, মর্মাহত, মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়। আর কতদিন এসব চলবে, যুগের পর যুগ চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা পাল্টাতে পারছি না। আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। ২০০৮ সালে বাম আমলে মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল, ভয়ঙ্কর নাড়া দিয়েছিল।এই সন্ত্রাসের জন্য দায়ী সব রাজনৈতিক দলগুলি।

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে দায়িত্বে থাকার সময় বর্ধমানে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছিলাম। প্রচুর অস্ত্র, বোমা উদ্ধার করেছিলাম। অভিষেক বলেছিলেন বিরোধী প্রার্থীরা যেন মনোনয়ন দিতে পারে। আমি নিজে থেকেই বিরোধীদের মনোনয়ন দিয়েছিলাম। এত খুনোখুনি, মারামারি, কেন জিরো করতে পারছি না ? মৃত্যু কাম্য নয়, মৃতের পরিবারই জানেন এটা কতখানি কষ্টকর। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারা কমিশন, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলির ব্যর্থতা। ভয়মুক্ত, রক্তহীন নির্বাচন করতে পারলাম না।’

ভোটের পরেও এদিন রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদ। সালার থেকে সামশেরগঞ্জ, মুহুর্মুহু বোমাবাজি। তৃণমূল ও নির্দলদের মধ্যে এলাকা দখল ঘিরে সংঘর্ষ। বন্দুক হাতে দাপাদাপি। একের পর এক বুথে ব্যালট লুঠ। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় তুলকালাম হয়। এসইউসিআই কর্মীর ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। দোকান থেকে বের করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।ভোটপর্ব মেটার পরেও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে অশান্তি অব্যাহত। আজ সকাল থেকে হীরানন্দপুরে নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের বচসাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বোমাবাজি। এলাকায় একের পর এক বোমা পড়ছে। চলছে ইটবৃষ্টি। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। খবর পেয়েও গ্রামে ঢুকতে পারেনি সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ