কলকাতা 

প্রতি বুথে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যৌথভাবে নিয়োগ করার পক্ষে হাইকোর্ট, বাহিনী মোতায়ন করবে বিএসএফের নোডাল অফিসার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয় একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ও বুথ চত্বরে অর্ধেক রাজ্য পুলিশ ও অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। অর্থাৎ বাহিনীর অনুপাত হোক ৫০:৫০। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যদি প্রতি ভোটগ্রহণ চত্বরে দুই বাহিনীর দুজন করে প্রতিনিধি দেওয়া যায়, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে।

ভোটকেন্দ্রে পোলিং অফিসারদের নিরাপত্তার দাবিতে মামলা করেছিল শিক্ষকদের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলে এই আরজি জানিয়েছিল তারা। সেই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন এই পরামর্শ দিয়েছে। বাহিনী ভাগাভাগি ও নিরাপত্তার বিষয়টির দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার বিএসএফের আইজি। তাঁকেই সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভার দিয়েছে আদালত।

সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, প্রতি বুথে সশস্ত্র বাহিনী থাকবে। বাহিনীর মধ্যে ভাগাভাগি করা হচ্ছে না। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করবে না কমিশন। এদিন আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, ৭০% থাকবে রাজ্য পুলিশ। বাকি ৩০% থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যের সেই আবেদন এদিন খারিজ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

রাজ্যের যুক্তি, প্রতি বুথে ৪ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলে বাহিনী কম পড়ে যাবে। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রায় ৬০ হাজার জওয়ান আসছে রাজ্যে। প্রায় ৭০ হাজার রাজ্য পুলিশ থাকবে। তাই সেক্ষেত্রে ৫০-৫০ অনুপাতে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব দেন কেন্দ্রের আইনজীবী।

দুপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যদি প্রতি ভোটকেন্দ্র চত্বরে দুই বাহিনীর দুজন করে দেওয়া যায় তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে। এটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয়, এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি।

রাজ্যজুড়ে প্রতিদিন যে অশান্তি চলছে সাধারন মানুষ খুন হচ্ছে সেটাকেই প্রধান বিচারপতি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বলেছেন অন্যদিকে আগামীকাল বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নোডাল অফিসার বাহিনীর মোতায়ন নিয়ে হাইকোর্টে  হলফনামা দেবেন। তারপরে বাহিনী মোতায়ন  নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত জানাবে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাহিনীর মোতায়নের জন্য নোডাল অফিসার হিসাবে বিএসএফের পশ্চিমবঙ্গ শাখার আইজিকে দায়িত্ব দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ