কলকাতা 

ভাঙড়ে ১৯ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়কে মান্যতা দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর ওয়েবসাইটে জ্বলজ্বল করছিল সিপিএম এবং আইসি প্রার্থীদের নাম কিন্তু হঠাৎই ওয়েবসাইট থেকে প্রার্থী তালিকা বুঝা যায়। তা নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা অবিলম্বে ওই ১৯ জন প্রার্থীকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে বলে নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন এই রায় কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় । ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে ১৯ জন তৃণমূল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তাদের জয় নিয়ে কোন সংশয় নেই। অর্থাৎ ভাঙড়ে ১৯ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসকদলের জয়কে মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

মনোনয়ন সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে এই প্রার্থীরা এর আগে আদালতের একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ সেই মামলার শুনানিতে ১৯ সিপিএম প্রার্থীকে নতুন করে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে বলেছিলেন কমিশনকে। কিন্তু কমিশন একক বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি সিংহের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছেন।

ভাঙড়ের এই সিপিএম প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, ভাঙড়ের ১৯টি আসনে তাঁরা মনোনয়ন জমা দেন। সেই মনোনয়ন গৃহীতও হয়। এমনকি, স্ক্রুটিনির পরও তাঁদের নাম ছিল কমিশনের ওয়েবসাইটে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পর দেখা যায় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁদের নাম নেই। একই ঘটনা ঘটে ওই আসনের আইএসএফ প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও। এর পরেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান ওই আসনের শাসক দলের প্রার্থীরা। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কমিশন বলেছিল, সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়নে গন্ডগোল ছিল, তাই মনোনয়ন বাতিল হয়ে গিয়েছে। যদিও সিপিএম প্রার্থীরা তা মানতে চাননি। সোমবার অবশ্য এই মামলায় কমিশনের পক্ষেই রায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ