জেলা 

অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়নে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর ক্ষতির দায়ভার কে নেবে! অনুসন্ধানের আলাপচারিতায় শোনাচ্ছিলেন বিশিষ্ট নদী বিশারদ মলয় মুখোপাধ্যায়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

মায়েসুরা তৈয়েবা : অনুসন্ধান কলকাতার উদ্যোগে শান্তিনিকেতনের ভূবনডাঙ্গায় রবিবার বিশিষ্ট গুণীজনদের উপস্থিতিতে আয়োজন করা হয়েছিল বার্ষিক মিলন উৎসব। আগামী প্রজন্ম আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, প্রগতি মানেই কী উন্নতি, বিপন্ন জীববৈচিত্র্য ইত্যাদি ছিল এদিন এই মিলন উৎসবে ঘরোয়া আলোচনার বিষয়বস্তু। আলোচনা করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের অন্দরের কথা উঠে আসে তাঁদের আলাপচারিতায়, উঠে আসে সমাজ তথা দেশের অগ্রগতিতে নানান উন্নতির কথাও।

এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট নদী বিশারদ অধ্যাপক মলয় কুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার নিরিখে প্রকৃত উন্নয়ন, অপসংস্কৃতি, বিজ্ঞানমনস্কতা ইত্যাদি বিষয়ের মৌলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন উন্নয়নের নামে যেভাবে নির্বিচারে প্রকৃতি ধ্বংস করা হয়েছে তার খেসারত শুধু মানুষকেই নয় জীবজন্তু সকলকে দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন প্রকৃতির সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় এক বিরাট ভারসাম্য আছে আমরা অনেক সময়ে তা ধরতে পারিনা কিংবা সাময়িক সুবিধার কথা চিন্তা করে প্রকৃতির বুক চিরে আমরা এমন কিছু উন্নয়নের সৌধ গড়ে তুলি যা আগামী ভবিষ্যৎকে করে তোলে সংকটাপন্ন। এর দায়ভার কে নেবে! ফারাক্কা বাঁধের মতো এরকম অনেক নদী বাঁধের কথা তিনি উল্লেখ করে বলেন আজ আমরা বেশ বুঝতে পারছি অনিয়ন্ত্রিত উন্নয়নে নিজেদেরকে আমরা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছি।

এই আলোচনা সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশিষ্ট অধ্যাপক গুপীনাথ ভান্ডারী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সুপ্রিয় কুমার সাধু, বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী অধ্যাপক মতিয়ার রহমান খান, বিশিষ্ট শিক্ষক ও বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী তারক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন গুণীজনদের উপস্থিতিতে।

এদিন অনুসন্ধান শিক্ষা সম্মান ২০২৩ জ্ঞাপন করা হয় বোলপুর হাই স্কুলের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সুপ্রিয় কুমার সাধুকে। তিনি বলেন আমার শিক্ষক জীবনে সবচেয়ে বড় সম্পদ ছাত্রছাত্রীরা। তাদের মধ্যে দিয়েই আমার শিক্ষার বৃত্ত পূর্ণতা লাভ পেয়েছে। আলোচনার ফাঁকে এদিন কবিতা গানের আসরে পান্থ মল্লিক, নাফিসা ইসমাতের উপস্থাপনা বেশ আকর্ষণীয়। শেখ নিজামুদ্দিনের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় অনুসন্ধান কলকাতার এই বার্ষিক মিলন উৎসবের কথা অনেকদিন মনে থাকবে বলে জানিয়েছেন বড়দের সঙ্গে ছোটরাও।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ