পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের! কি সেই সিদ্ধান্ত? জানতে হলে ক্লিক করুন
বাংলার জনরব ডেস্ক : কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়ন নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়ে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। চিঠিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চাওয়া হয়েছে অথচ তাদেরকে কোন কোন জেলা এবং কোথায় কোথায় মোতায়েন করা হবে তার নির্দিষ্ট কোন স্থান বলা হয়নি। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রস্তুত থাকা সত্ত্বেও তারা যেতে পারছে না। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্র ক মন্ত্রক জানিয়েছে যে এবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্থানীয় স্তরে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। দিল্লিতে সিআরপিএফের আইজি এবং কলকাতায় বিএসএফের আইজিকে স্টেট নোডাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লিখেছে, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীকে কোথায় মোতায়েন করা হবে, সে ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিক কমিশন। না হলে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার জন্য যথা সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না।
২৫ জুন, অর্থাৎ রবিবার দিল্লির নর্থ ব্লকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতর থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে পঞ্চায়েত ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রক্রিয়াটি যাতে মসৃণ ভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য এক মুখ্য বাহিনী তত্ত্বাবধায়ককে মনোনীত করা হয়েছে। নয়াদিল্লির সিআরপিএফের আইজি (অপারেশনস)-কে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, কলকাতার আইজি বিএসএফ (মানবসম্পদ) স্টেট নোডাল অফিসারকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে।
কেন্দ্র এ কথা জানিয়েই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠিতে লিখেছে, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য জেলাভিত্তিক বাহিনী মোতায়েনের যে পরিকল্পনা, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে বিএসএফের স্টেট নোডাল অফিসারকে।
তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কমিশন অনুরোধ করেছে, যেহেতু এই কেন্দ্রীয়বাহিনীর সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসবেন, তাই তাঁরা কে কোন স্টেশনে নামবেন, কোথায় তাঁদের যেতে হবে, তার বিশদ পরিকল্পনা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকে। তা না হলে এই ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যথাসময়ে মোতায়েন করা যাবে না। সৃষ্টি
এর পাশাপাশিই কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানদের থাকার জন্য জরুরি ব্যবস্থা, তাদের সুযোগ সুবিধা দেখার উপযুক্ত পরিকাঠামো, তাদের জন্য যান বাহনের ব্যবস্থা-সহ দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বিমার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
মনে করা হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি আরো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর কথা বলেছেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রক পাল্টা চিঠি দিও। দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার উপর চাপ সৃষ্টি করল। তবে বাহিনীর মোতায়ন নিয়ে যেভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে অনেকটাই নজিরবিহীন ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।