উপাচার্য নিয়োগ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি কেন ? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের
বাংলার জনরব ডেস্ক : সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নতুন এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ছিল রাজ্য সরকার।সার্চ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এই বিজ্ঞপ্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়েছিল। আর সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের হয়েছিল।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে এ বার রাজ্যের কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যের তৈরি নতুন সার্চ কমিটিতে সরকার পক্ষের সদস্য বেশি কেন? সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধিই বা কেন রয়েছেন? জবাব দেওয়ার জন্য রাজ্যকে তিন সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে হাই কোর্ট।
সোমবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, ‘‘এই কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও সদস্যকে কেন রাখা হয়েছে? যতদূর জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রীর মনোনীত কোনও সদস্য থাকার কথা নয়! এই কমিটিতে শিক্ষাবিদদের কি রাখা হয়েছে?’’ এর জবাবে রাজ্য জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নিয়ম মাথায় রেখেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সব সদস্যই শিক্ষাবিদ! এর পাল্টা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের গঠিত সার্চ কমিটি এখনই কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ করতে পারবে না। পদক্ষেপ করলে মামলকারীরা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। আগামী ৩১ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।