কলকাতা 

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ, চাপে রাজ্য নির্বাচন কমিশন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোটের ডিউটিতে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে যেসব এলাকায় প্রশিক্ষণ শিবির করা হয়েছে সেসব প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময়েও সরকারি কর্মচারীরা বিক্ষোভ দেখায় বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ রবিবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহবায় ক ভাস্কর ঘোষ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। কলকাতা হাইকোর্টনির দেশে বলেছিল সমগ্র রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য সমস্ত খরচ কেন্দ্র সরকার বহন করবে এটাও কলকাতা হাইকোর্ট তার নির্দেশে বলেছিল। এরপরই প্রথমে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেন হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে তারা চলবে কিন্তু রাজ্য সরকার পাল্টি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন ও পাল্টি খেয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলে যায়।

সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ রবিবার বিবৃতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পাশাপাশি, তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে একটি স্মারকলিপি মেল করেছে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে। কিন্তু সেই দাবি যে পূরণ হবে না তা ভালই বোঝে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাই সোমবার সকালেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা দায়ের করার যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে তাঁরা।

আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি, রবিবার দিনভর জেলায় জেলায় নিজেদের প্রতিবাদ কর্মসূচিও সংগঠিত করেছেন স‌ংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতারা। সঙ্গে ভোটের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে কোথাও বিক্ষোভ কর্মসূচি, কোথাও আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ভোটকর্মীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঘুনাথগঞ্জ, হুগলিতে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে বিক্ষোভ হয়। হুগলি জেলার গোঘাটের কামারপুকুরে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের দাবি করেন।

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতাদের দাবি, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। সেই ভোটে উত্তর দিনাজপুরে ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের মৃত্যু হয়েছিল। সেই বছর ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল, ওই দিনের সন্ত্রাস এখনও ভোটকর্মীরা ভোলেননি। চলতি পঞ্চায়েত ভোটে এখনও পর্যন্ত ৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতি দেখে সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তা ছাড়া কলকাতা হাই কোর্টও ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার নির্দেশ দিয়েছে, তা সত্ত্বেও কমিশন হাই কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ