কলকাতা 

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে ইসলামিক স্টাডিজ এর পড়ুয়াদের হাতে সারারাত ধরে আটক রেজিস্টার সহ একাধিক অধ্যাপক, উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের সমস্যার সমাধান করবে কে ? পঞ্চায়েতে সংখ্যালঘু ভোটে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে!

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি: গতকাল সন্ধ্যা থেকে আবার আলিয়ার পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে উত্তাল ।সারা রাত আলিয়ার রেজিস্টার থেকে অধ্যাপক সকলে ছাত্র ঘেরাওয়ের কবলে আটকে। এই গতকালকের আলিয়ার নিউ টাউন ক্যাম্পাস ঘুরে এসে লিখেছিলাম। আর রাতেই খবর পেলাম এবং সকালেই খোঁজ নিয়ে জানলাম অবরোধ ঘেরাওয়ের কবলে আটকে আছেন রেজিস্টার থেকে একাধিক অধ্যাপকবৃন্দ।

ছাত্র ছাত্রীদের দাবি কি ,কেন তাঁরা আটকে রেখেছেন ।খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাস ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্ররা নানান দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছিল ।আন্দোলনের আজ ৩৩ তম দিন !!

Advertisement

ওদের দাবি কি?

১) ইসলামিক স্টাডিজের বিএড এর পর্যাপ্ত পরিমাণ সিট বাড়াতে হবে , ২ ) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্মার্ট ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে ৩) বিভাগের পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষক ও ননটিচিং স্টাফ নেই অবিলম্বে নিয়োগ করতে হবে ৪) বিভাগের স্থায়ী রুম নেই ৫) বিভাগের পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইব্রেরীতে বই নেই ,৬) পশ্চিমবাংলাতে ইসলামিক স্টাডিস বিভাগ একমাত্র আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ানো হয় এবং এই সাবজেক্ট বিএড করার জন্য পশ্চিমবাংলাতে অন্য কোন কলেজ নেই !!পাশের সাবজেক্ট হিসেবে বিএড করতে হলে সেখানে ৩০০ নাম্বার লাগবে !!পাশের সাবজেক্টে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেনারেল সাবজেক্ট এর সঙ্গে তুলনা করে ১৫০ দিচ্ছে কিন্তু অল ওভার ওয়েস্ট বেঙ্গলে সমস্ত জায়গায় সমস্ত সার্ভিসে পাশের সাবজেক্টে ৩০০ না থাকলে হবে না !!

এই দাবির উপরে ভিত্তি করে ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলন ।দুঃখের বিষয় বিশ্ববিদ্যালযযের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে ছিলেন ডা আবু তাহের কামরুদ্দিন সাহেব ,তাঁর কাছে এই সব দাবি জানিয়ে ছিলেন ।তিনি কর্ণপাত করেন নি বা সমাধানে সচেষ্ট হন নি। হাইকোর্টের নির্দেশে তিনিও বিদায় নিয়েছেন। বর্তমানে উপাচার্য শূন্য বিশ্ববিদ্যালয়।

কোনও প্রকার কাজ ঠেকিয়ে অচলাবস্থা কাটিয়ে চলেছেন বর্তমান রেজিস্টার ডা নুরুস সালাম সাহেব।যদিও তাঁর কিছুই করার বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই ।

প্রকৃত পক্ষে কেয়ারটেকার কর্তৃপক্ষ বললেও কম বলা হয়।

ছাত্র ছাত্রীদের যে সমস্ত দাবি যেটা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ।অন্যদিকে বর্তমান রেজিস্টার বা কর্তৃপক্ষের ইচ্ছে থাকলেও সমাধান করার ক্ষমতা নেই।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের একমাত্র বিশ্বিদ্যালয়ে সংখ্যালঘু ছাত্র ছাত্রীদের এই জটিল সমস্যার সমাধান ও বিশ্বিদ্যালয়কে সচল রাখতে অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগে আন্তরিক সচেষ্ট হওয়ার জন্য সংখ্যালঘু মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন রাজ্যের বিশিষ্ট সংখ্যালঘু বেক্তিত্বগণ বুদ্ধিজীবী গণ।নচেৎ এর প্রভাব পড়বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বলে তাঁদের আশঙ্কা।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ