জেলা 

মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনেই তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর লড়াইয়ে আহত ১৫, মুর্শিদাবাদ জুড়েই শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলে রণক্ষেত্র হওয়ার সম্ভাবনা !

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনে ই শাসকদলের কর্মীদের মধ্যে অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর। রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা ছিল তড়িঘড়ি নির্বাচন ঘোষণা করতে গিয়ে আসলেই শাসক দল নিজের বিপদ ডেকে আনতে চলেছে। কারণ সমস্যাটা শাসকদলের অভ্যন্তরে সবচেয়ে বেশি, বিরোধী দলের মধ্যে ভোটে দাঁড়ানোর প্রবণতা খুব বেশি থাকে না একমাত্র জনপ্রিয় কোন প্রার্থী ভোটে দাঁড়াতে রাজি হন অন্তত পঞ্চায়েত স্তরে। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার মাত্র ছয় দিন সময় দিয়ে দলের অভ্যন্তরে গোষ্ঠী কোন্দলকে তীব্র হওয়ার সুযোগ করে দিল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। কারণ এই সময়কালের মধ্যে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব বা জেলা কমিটির নেতারা খুব দ্রুত কোন সিদ্ধান্ত নিতেই পারবেন না ফলে ফলে অনেক আসনে ই দলের নেতারাই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

এদিকে সমগ্র মুর্শিদাবাদ জুড়েই সমস্যা তীব্র ছিল। একটি বুথে বা একটি আসনে অন্তত তিন থেকে চারজন করে তৃণমূল নেতা কর্মী প্রার্থী হওয়ার দাবিদার ছিল এই সমস্যাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করে দ্রুত প্রার্থী নির্বাচন করতে গিয়ে ভরতপুরে অশান্তি ডেকে আনল তৃণমূল কংগ্রেস।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্লক অফিসে সর্বদল বৈঠক সেরে বেরিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময় সালার ব্যাসস্ট্যান্ডের কাছে যুব তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ভরতপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের অনুগামীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন জখম হন বলে খবর তৃণমূল সূত্রে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের প্রথম দিনেই এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই নির্বাচন আদৌ শান্তিপূর্ণ হবে কি না। বিধায়ক হুমায়ুন এই ঘটনার জন্য দলের ব্লক সভাপতিকে দায়ী করে বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতির অনুগামীরা বাইক মিছিল করে এসে যুব অফিসে চড়াও হন। পঞ্চায়েতের সমস্ত টিকিট কব্জা করতে চাইছেন ব্লক সভাপতি। এটা হয় না।’’ অন্য দিকে, মোস্তাফিজুর বলেন, ‘‘সকলকে সংযত হতে হবে। প্রার্থী ঠিক করবে দল। এখানে কারও দাদাগিরি চলবে না।’’

গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে শাসক তৃণমূল। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহরায় বলেন, ‘‘মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে কোথাও কোনো গন্ডগোল হয়নি। কোথাও কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি মিটিয়ে নেওয়া হবে।’’

শাসক দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি চাই বলুক না কেন সমস্যা যে তীব্র আকার ধারণ করেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। মনোনয়নপত্রের দিন যত এগিয়ে আসবে ততই যে মুর্শিদাবাদ জুড়ে অশান্তির তীব্র হবে তা আগাম বলে দেওয়া যেতেই পারে। মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গেছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ