জেলা 

বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হল মহিষাদল রাজ কলেজে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নায়ীমুল হক :সম্প্রতি গত ৫ ই জুন মহিষাদল রাজ কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে, হয়ে গেল পরিবেশ রক্ষার নবতম উদ্যোগ কর্মকাণ্ড । কথায় নয় কেবল কাজে। এদিন এই বিভাগে গঠিত হয়ে গেল পূর্ব ভারতের একমাত্র “গ্লোবাল ওয়ার্মিং রিডাকশন সেন্টার” ।

এই বিভাগ ইতিমধ্যে তৈরি ও সংগ্রহ করে ফেলেছে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি দেশী ফল ও ফুলবৃক্ষের পরিপুষ্ট বীজ ভাঁড়ারl তৈরি করে ফেলা হয়েছে ঐ সমস্ত বীজ রোপণের ক্ষেত্র – হলদি চর ।এই চর ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক জীববৈচিত্র্য হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষিত ।এখানেই বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শুভময় দাসের নেতৃত্বে বিগত আট বছর ধরে চলছে নিরন্তর নিখুঁত গবেষনা ।

Advertisement

চলছে জীববৈচিত্রের গুণগত আর পরিমাণগত পরিমাপ ।প্রায় দেড়শত পরিবেশ প্রহরী প্রত্যেকে দশটি করে বৃক্ষ শিশুর দেখভাল করার জন্য দত্তক নিতে প্রস্তুত বলে জানালেন এই অনুষ্ঠানে ।বর্ষা নামলেই শুরু হবে কর্মকাণ্ড। খোলা হল পরিবেশের খবরাখবরের জন্য বিশেষ ফেসবুক গ্রুপ “সংবাদে পরিবেশ” ।আত্মপ্রকাশ করল পরিবেশ পত্রিকা “ক্রন্দসী” ।খালি পেটে পরিবেশ রক্ষার কাজ যে প্রায় অসম্ভব- সেটা বুঝে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকরা প্রায় দেড় লক্ষ টাকার তহবিল গড়েছেন নিজেদের পকেটের পয়সা দিয়ে । সেই অর্থ দেওয়া হল নিবেদিত প্রাণ আটজন পরিবেশের গবেষক প্রহরীকে – আগামী এক বছর ধরে গবেষণা আর লড়াই চালিয়ে যাবার জন্য ।

এ সমস্ত ই ঘটে গেল এক আন্তর্জাতিক কর্মশালার ফাঁকে ফাঁকে । আয়োজক মহিষাদল রাজ কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ আর সহযোগী হিসেবে ছিলেন কলকাতার আই বি আর এফ এবং জি ডব্লিউ আর সি ।আলোচক হিসেবে ছিলেন কর্ণধার তথা রাজ কলেজের অধ্যাপক শুভময় দাস, কানাডা বিশবিদ্যালয়ের সৈকত বসু, অধ্যাপক নন্দন ভট্টাচার্য, তন্ময় রুদ্র এবং আরো বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক ।কলকাতার উল্লিখিত দুই সংস্থা আগামী এক বছর ধরে দুই তরুণ পরিবেশ গবেষককে বৃত্তির ব্যবস্থা করেন । কর্ণধার শুভময় বলেন , ” আমরা যদি এই অকালেও স্বপ্ন দেখি কার তাতে কি ?” আমরা সবুজ বাঁচানোর আগে নীল জল বাঁচাতে চাই ।এক্ষুনি ।বড্ড দেরী হয়ে গেছে ইতিমধ্যে ।”


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ