মাথা ঢেকে স্কুলে আসার নির্দেশ ছাত্রীদের! হিজাব ভেবে স্কুলেরই স্বীকৃতি বাতিল করলো মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার
বাংলার জনরব ডেস্ক : স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছিলেন সমস্ত ছাত্রীদের মাথার চুল থেকে স্কুলে আসতে হবে আর এই নির্দেশকে মধ্যপ্রদেশ সরকারের শিক্ষার দফতর হিজাব বলে মনে করেছে এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্কুলের স্বীকৃতি বাতিল করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নাকি এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এ প্রসঙ্গে বলেছেন এই রাজ্যে মোদি র নির্দেশিকা চলবে কোন মধ্যযুগীয় নির্দেশিকা চলবে না হিজাব পরার কথা বলা হয়েছে, এটা মানা হবে না ওই স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা নির্দেশ দিয়েছি।
এরপরই শুক্রবার ওই স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।পাশাপাশি, অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য দামোহর জেলাশাসক ময়াঙ্ক আগরওয়াল শনিবার তদন্ত কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
মধ্যপ্রদেশ শিক্ষা দফতরের তরফে শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দামোহর ‘গঙ্গা যমুনা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল’-এর স্বীকৃতি বাতিল করার কথা জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ মুসলিম ছাত্রীদের পাশাপাশি, হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান-সহ অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ছাত্রীদের হিজাব পরে স্কুলে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
যদিও অন্য একটি সূত্রের ‘ব্যাখ্যা’, স্কুল কর্তৃপক্ষ সব ছাত্রীকে মাথা ঢেকে ক্যাম্পাসে ঢোকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশিকাকেই ভুল ভাবে ‘হিজাব’ বলা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিজেপি পরিচালিত মধ্যপ্রদেশ সরকারের শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তিতেও কোথাও ‘হিজাব’ শব্দটির উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, ‘সরকারি নিয়মাবলি না মানার কারণে বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি বাতিল করা হচ্ছে।’’
এই প্রচন্ড গরমে যাতে মাথায় তাপ না পড়ে তার জন্যই মাথা ঢেকে স্কুলে আসার নির্দেশ দিয়েছিল বলে আরেকটি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। মূলত বিজ্ঞানভিত্তিক ছিল এই নির্দেশিকা কারণ মাথার ওপরে অতিরিক্ত রোদের তাপ পড়লে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন ছাত্রীরা। এই চিন্তা ভাবনা থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে একটা মহল মনে করছে। অন্যদিকে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকারের প্রশাসন এটাকে হিজাব বলে মনে করে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।