কলকাতা 

High Court: শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের ভর্তিতে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট, ৩০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার ভর্তি ঘিরে অনিশ্চয়তা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কলেজে ভর্তির ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এর ফলে ৩০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেল। কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন।

২০২১-২০২৩ বর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। বেসরকারি ৬০০ প্রশিক্ষণ কলেজে লেট ফি ৩০০০ টাকা দিয়েও এখন আর ভর্তি হওয়া যাবে না।

Advertisement

হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৯ জুন পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল । ৬ জুন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ভর্তির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০ মে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩ দিনের মধ্যে ভর্তি সম্পূর্ণ করণ কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন ছিল ডিভিশন বেঞ্চের।

প্রসঙ্গত, সুকান্ত গুড়িয়া জনস্বার্থ মামলা করে হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, ২০২১-২০২৩ শিক্ষা বর্ষের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আবেদন গ্রহণের সময়সীমা জানাচ্ছে ২৮ ডিসেম্বর ২০২২। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় পর্ষদ জানুয়ারি ২০২৩ ভর্তির আবেদন করতে হবে।

তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে ২০২১-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ২০২৩ সালে আবেদন গ্রহণ হলে ক্লাস কবে হবে?

এরপর নির্ধারিত ক্লাস সংখ্যা মাধ্যম পঠনপাঠনের বিষটিকে সামনে রেখে লেট ফি ৩০০০/- জমা করে বেসরকারি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কলেজে ভর্তির ছাড়পত্র দেয় হাইকোর্ট।

৬ জুন ২০২৩-এর মধ্যে নির্দেশ কার্যকর করার রিপোর্ট পেশ করার জন্য নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। এই অবস্থায় ৩০ মে ২০২৩-এ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানায়, ৩১ মে থেকে ২ জুন, এই সময়কালে লেট ফি ৩০০০/- টাকা দিয়ে ভর্তির কথা। সেই বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার জরুরি মামলার অনুমতি দেয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলাতেই পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের।

এ প্রসঙ্গে বলা প্রয়োজন দুর্নীতির কত দূর পর্যন্ত বিস্তার ঘটেছে যে ২০২১- ২০২৩ শিক্ষা বর্ষে ভর্তি হচ্ছে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কিংবা মে মাসে এসে! কোর্সের সময়সীমা জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ! তাহলে প্রশিক্ষণটা কেমন হবে হবু শিক্ষকদের! এই প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তার মূলে রয়েছে এই প্রশিক্ষণ নিয়ে দুর্নীতিও! প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে দু বছরের কোর্স মাত্র ছয় মাসের শেষ করার যে প্রবণতা শুরু হয়েছে তা বন্ধ করার কেন উদ্যোগ নিচ্ছেন না রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি দুর্নীতিটা সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে?


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ