অন্যান্য কলকাতা 

বাইরণের তৃণমূলে যোগ বাম কংগ্রেসের সাগরদিঘী মডেল কী ব্যর্থ ? নাকি নেপথ্যে অন্য রহস্য!

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: বাম কংগ্রেসের সাগরদিঘী মডেল ফেল করেছে বলে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহল বলতে শুরু করেছে। কারণ কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বাইরণ বিশ্বাস,আজ তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন। ফলের স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি বাম কংগ্রেসের সাগরদিঘী মডেল ফেল করল! কিছু গদি মিডিয়া এ কথাগুলো বললেও আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভুল রাজনীতি যে করে চলেছেন তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

প্রথমত বাইরন বিশ্বাসকে দলে নেওয়ার ফলে তৃণমূল কংগ্রেস যে মানুষের জনাদেশে বিশ্বাস করে না। তা আরেকবার প্রমাণিত হয়ে হল। এ থেকে আরেকটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে যে তৃণমূল কংগ্রেস আসলে বিজেপির বি টিম হিসেবে কাজ করছে। কারণ একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ককে দলে নিয়ে বিধানসভা থেকে কংগ্রেসকে শূন্য করা কোন প্রয়োজন ছিল কি মমতার? এর আগে নওশাদ সিদ্দিকীকে  দলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এমনকি তাকে ৪২ দিন জেল খাটিয়েছে তারপরেও নওশাদ মাথা নত করেনি। বাইরণ চলে গেলে কিন্তু যে মানুষগুলো বাইরণকে ভোট দিয়েছিল তাদের কাছে বাইরন হয়ে গেল বিশ্বাসঘাতক বা মীর জাফর।

Advertisement

দ্বিতীয়তঃ আর এস এস এবং বিজেপির লক্ষ্য হচ্ছে ভারত বর্ষ কে কংগ্রেস মুক্ত করা তৃণমূলের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাকে কংগ্রেস মুক্ত করা গত বিধানসভা নির্বাচনে এনআরসির ভয় দেখিয়ে এ রাজ্যকে কংগ্রেস মুক্ত করেছিল,তৃণমূল কংগ্রেস।

তৃতীয়ত ঃ দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে ততই মনে হচ্ছে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের কোথাও একটা গোপন সমঝোতা রয়েছে। নাহলে বাংলাকে বিজেপি শূন্য না করে বাম কংগ্রেস শূন্য করার লক্ষ্যে কেন কাজ করে চলেছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদরের ভাইপো।

উল্টোদিকে বাইরন যা করেছে তা এক কথায় সাধারন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। এই প্রতারণার উত্তর হয়তো সাধারণ মানুষ এক সময় দেবেন কিন্তু ভবিষ্যতে বাইরণের অবস্থা জাকির হোসেন কিংবা খলিলুর রহমানের মত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে এ কথা ঠিক খলিলুর এবং জাকিরের মধ্যে খানিকটা বোধগম্য আছে। আর বাইরণের মধ্যে সেটুকু নেই। না হলে একটা ডুবন্ত তরীতে কোন বোধ বুদ্ধি সম্পন্ন রাজনীতিবিদ উঠতে পারে না।

তবে শেষ বিচারে বাংলার জনরব মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস বাইরণ বিশ্বাস এর মত কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ককে দলে নিয়ে নিজেদের স্বরূপকে উন্মোচন করে দিল। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির যে গোপন সমঝোতা রয়েছে তা প্রকাশ্যে এনে দিল বাইরনকে নেয়ার পরে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েক মাস আগেই বলেছিলে বাইরন বিশ্বাস ভোটে জিতেছে বিজেপির সমর্থন নিয়ে তাহলে প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির সমর্থনে জেতা একজন বিধায়ককে দলে নিয়ে বিধানসভাকে কংগ্রেস শূন্য করার নেপথ্যে কি মমতা বিজেপির হয়ে কাজ করলেন না?

যাইহোক এটা স্পষ্ট হয়েছে যে এই রাজ্যের বাঙালি মুসলমান সমাজ মমতার কাছ থেকে সরে যাচ্ছে বাইরন বিশ্বাসকে দলে নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি মনে করে থাকেন যে এ রাজ্যের বাঙালি মুসলিম ভোট পকেটে পুড়ে নেবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। আগামী দিনে এই রাজ্যের বাঙালি মুসলমানদের সমর্থন যে আরো হারাবে তৃণমূল কংগ্রেস তা হলফ করেই বলে দেওয়া যায়।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ