জেলা 

শালবনীতে জিন্দাল গোষ্ঠীর অব্যবহৃত জমিতে গড়ে উঠতে চলেছে আরো বড় কারখানা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ২০০৮ সালে জিন্দাল গোষ্ঠীকে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার ৪৩৩৪ একর জমি শিল্প করার জন্য শালবনীতে গিয়েছিল। এই জমিতে বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ইস্পাত শিল্প গড়ে তোলার কথা ছিল কিন্তু তা দেড় দশকে হয়নি। পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি মূলত জিন্দাল গোষ্ঠীকে এই জমি অতিক্রম করে নিয়ে কাজ না করার জন্য ধমক দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে ১৩৫ একর জমিতে জিন্দাল গোষ্ঠী একটি সিমেন্ট কারখানা গড়ে তোলে। সেই সিমেন্ট কারখানাটির উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ওই কারখানা সম্প্রসারণের পাশাপাশি রং কারখানাও গড়া হচ্ছে সেখানে। এ ছাড়া, ‘ফিনিশিং স্টিল’, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্মী আবাসন ইত্যাদি মিলিয়ে আরও ১,২০০ একর জমির প্রয়োজন হবে জিন্দলদের। সব মিলিয়ে মোট ১৫০০ একর হাতে রেখে বাকি জমি ফিরিয়ে দিতে চান তাঁরা।

আজ শালবনীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন শিল্পায়নের জন্য যে জমি জিন্দাল গোষ্ঠীকে দেয়া হয়েছিল তার অব্যবহৃত অংশ তারা সরকারকে ফেরত দিয়ে দেবে সেই জমিতে গড়ে উঠবে আরো এক বড় শিল্প অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

Advertisement

শালবনির সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জ্যোতিবাবুরা জমি দিয়ে পালিয়েছিলেন। তার পর কিছু হয়েছিল? জিন্দলদের কারখানা আমি এসে উদ্বোধন করেছিলাম। ওঁরা কিছু জমি ফেরত দিচ্ছেন। তাতে নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। জিন্দলদের শিল্পের জন্য জমি লেগেছে, বাদবাকি জমি ওঁরা ফেরত দিচ্ছেন। সেখানে বড় ইন্ডাস্ট্রি (শিল্প) তৈরি হবে। শালবনিতে আবার একটা বড় ইন্ডাস্ট্রি হবে।’’

ইতিহাস বলছে, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ইস্পাত এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির জন্য প্রায় ৪,৩৩৪ একর জমি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলের দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান এবং জিতিন প্রসাদকে সঙ্গে নিয়ে ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর জিন্দল গোষ্ঠীর সেই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেখান থেকে ফেরার পথে তাঁদের লক্ষ্য করে ল্যান্ডমাইন হামলা চালায় মাওবাদীরা। ওই ঘটনার পর পুলিশি নিপীড়নের অভিযোগকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল ‘পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনগণের কমিটি’। দানা বেঁধেছিল ‘লালগড় আন্দোলন’। বাংলায় ‘পরিবর্তন’কালের রাজনীতিতে এই ঘটনার অভিঘাতও কম ছিল না।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ