সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হলো না সুপ্রিম কোর্ট, মামলাকারীকে তীব্র ভর্ৎসনা শীর্ষ আদালতের
বাংলার জনরব ডেস্ক : সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সেই মামলায় কোনরকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হলো না সুপ্রিম কোর্ট। বরং মামলাকারীকে তিরস্কার করেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি।মামলাকারীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন তাঁকে জরিমানা করা হবে না! একইসঙ্গে বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন হাইকোর্টে গিয়ে ফের তিনি এই আবেদন করবেন কিনা! আবেদনকারী জানিয়ে দেন তিনি সেটা করবেন না। সংসদ ভবন উদ্বোধন করার ব্যাপারে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। তারপরেই মামলা প্রত্যাহারে সম্মত হন আবেদনকারী। তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়।
যেন নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি, সেই বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালত যেন সংসদের সচিবালয়কে নির্দেশ দেয়৷ অভিযোগ করে বলা হয়েছে, ভারত সরকার ভারতীয় সংবিধানকে লঙ্খন করছে, সংবিধানের প্রতি যথেষ্ট সন্মান প্রদর্শন করছে না। এই অভিযোগ করে মামলা করেন, অ্যাডভোকেট সিআর জয়া সুকিন।
সুপ্রিম কোর্টের আবেদন পত্রে লেখা হয়েছে,‘ভারতের সংসদ দেশের সর্বোচ্চ আইনসভা৷ তার মধ্যে রয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি ও রয়েছে দু’টি কক্ষ। রাজ্যসভা ও লোকসভা।ভারতের রাষ্ট্রপতি সংসদের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ তা হলে কেন নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান থেকে ও বর্তমানে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রপতিকে বাইরে রাখা হল৷ এই ঘটনার ফলে দেশের মানুষের প্রতি এক প্রকার অসন্মান প্রদর্শন করা হল।’
উল্লেখ্য, আগামী রবিবার ২৮ সেপ্টেম্বর নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস সহ দেশের উনিশটি বিরোধী দল দাবি করেছে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হোক। কিন্তু ভারত সরকার নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে এই উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা নিয়ে রাহুল গান্ধীর কড়া মন্তব্য করেছেন।তিনি বলেছিলেন, সংসদ ‘একগুঁয়েমির ইট’ দিয়ে তৈরি হয়নি৷ তাঁর অভিযোগ, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আহ্ববান না করা ও তাঁর হাত দিয়ে নতুন ভবনের উদ্বোধন না করানো, দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদের প্রতি একটি অপমান৷’।
বিরোধীদের অভিযোগ, এমন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মানেই হয় না, যে অনুষ্ঠানে গণতন্ত্রের অন্তরের সমস্ত নির্যাস ফেলে দেওয়া হয়েছে।