কলকাতা 

কালীঘাটের কাকুকে তলব ইডির , গ্রেফতারির সম্ভাবনা প্রবল, কেন? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কালীঘাটের কাকুকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য তলব করাল ইডি।ইডি সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার (৩০ মে) সংস্থার দফতরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণের পাশাপাশি গত শনিবার তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তের বিবিরবহাটের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। গত শনিবার বেহালার ফফিরপাড়া রোডে তল্লাশি অভিযানের সময় সুজয়ের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, সেই মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া কিছু ‘তথ্য’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পরে তাঁকে।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সূত্রে ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছিল, ‘কালীঘাটের কাকু’র আসল নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই সুজয়কে এর আগে দু’বার তলব করেছিল সিবিআই। প্রথম বার হাজিরা দিলেও পরে তিনি নিজে হাজিরা দেননি। বদলে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠিয়ে দেন। সুজয় সে সময় জানান, তাঁর কাছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছিল। সেগুলি আইনজীবীকে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজেই জানান, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছিলেন, অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় কুন্তল নাকি আশ্বাস দিয়ে বলতেন, ‘‘কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’ ইডি সূত্রে খবর, পরে গোপাল দলপতি এবং তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, কুন্তলের ওই কালীঘাটের ‘কাকু’ রাজ্যের এক প্রভাবশালী শীর্ষ নেতার সংস্থার চিফ এগ্‌জ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও)। তার পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘আতশকাচের তলায়’ সুজয়।

যদিও কুন্তল দাবি করেছেন, তিনি ওই ‘কাকু’কে চেনেন না। কুন্তল এ-ও দাবি করেন, যে সুজয়কে নিয়ে চর্চা চলছে, তিনি ‘কালীঘাটের কাকু’ নন। তাপস ও কুন্তলের এই পরস্পর বিরোধী দাবীকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর মনে করছে তদন্তকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এই কাজ করে চলেছেন কুন্তল ঘোষ।

এদিকে, গত শনিবার কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তার কয়েকদিন পরই ইডির তলব নিয়ে ইতিমধ্যে সাধারন মানুষের মধ্যে ধারণা দৃঢ় হচ্ছে, এবার কি কালীঘাটের কাকু গ্রেফতারির পথে! ওয়াকিবহল মহলের ধারণা আগামী মঙ্গলবারই যদি তিনি ইডি দফতরে যান তাহলে গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে ভবিষ্যতের উপরে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র যদি গ্রেফতার হন তাতে অনেকটাই ব্যাক ফুটে চলে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের আরো কোন বড় নেতার গ্রেফতারি সম্ভাবনা দৃঢ় হবে।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ