কলকাতা 

সত্যের জন্য লড়াই চালাতে হবে : সরদার আমজাদ আলী

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লড়াই যেমন চলবে একই রকম ভাবে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই চালাতে হবে। বাংলার জনরব নিউজ পোর্টাল আয়োজিত এক গুণীজন সংবর্ধনায় ভাষণ দিতে গিয়ে একথা বলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও প্রাক্তন সাংসদ সরদার আমজাদ আলী। ২০ মে শনিবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে উৎসব সংখ্যা প্রকাশ গুণীজন সংবর্ধনা ও স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।

এদিন এদিন বাংলার জনরাবে এর পক্ষ থেকে সরদার আমজাদ আলীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সম্মান গ্রহণ করে আমজাদ আলী বলেন আমি ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলাম সন্তান তুল্য ছিলাম তা সত্ত্বেও তার দল যেদিন আমি ত্যাগ করেছিলাম সেদিন আমি বলেছিলাম বাংলা থেকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমাকে বাংলার মানুষ পাঠিয়েছে। কিন্তু যারা আমাকে প্রতিনিধিত্ব করে পাঠিয়েছেন তারাই একটি গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হচ্ছে আর আপনি নিরব দর্শক হইয়াছেন সুতরাং আমি আর দর্শক হয়ে থাকতে পারিনা। তাই দলের ত্যাগ করছি।

সত্যের জন্য ত্যাগ করতে হয় সহজ কথা সহজ ভাবে বলে বলাটা রপ্ত করাটা জরুরী কিন্তু দুঃখের হলেও সত্য আজকের প্রজন্ম এ কাজটা করছে না। সরদার আমজাদ আলী বিভিন্ন ঘটনাবলীর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন আমি একটা রাজনৈতিক দলের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম কিন্তু তারপরেও আমি মার মাটিকে ভুলে যায়নি। আমার শিকড় ভুলে যায়নি আমার আকলাখকে ভুলে যায়নি।

বাংলার জনরব নিউজ পোর্টাল আয়োজিত এদিনের স্মারক বক্তৃতায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার জনাব নুরুস সালাম মনিরুজ্জামান সাহেবের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন তিনি যেমন পন্ডিত ব্যক্তি ছিলেন একইসঙ্গে সোজা কথা কে সোজা ভাষায় তিনি বলতে পারতেন। সেই জন্যেই তিনি তার ছাত্রদের কাছে একটি আদর্শ তৈরি করে গেছেন। ডক্টর আব্দুল মুজিদ স্মারক বক্তৃতায় অংশ নিয়ে পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান বলেন, আজ শিক্ষাঙ্গনে যে আমল পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে যেভাবে প্রতিবছর শয়ে শয়ে ছেলেমেয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে তার পেছনে এই আব্দুল মুজিদ সাহেবদের অবদান রয়েছে।

তিনি আরো বলেন আব্দুল মজিদ সাহেব শুধু একটি নাম নয় একটা প্রতিষ্ঠান যে প্রতিষ্ঠানের নাম মাওলানা আজাদ একাডেমী। এদের সবাই স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মোফাক্কার হোসেন মল্লিক বলেন মুজিদ সাহেবদের সঙ্গে আমরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছি মাদ্রাসা বোর্ড তৈরি করেছি সিলেবাস নতুন করে তৈরি হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন হয়েছে।

এদিনের সবাই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী রবিয়েল হক বলেন, আমাদেরকে আর্থিক দিক দিয়ে বলিয়ান হতে হবে সেজন্যে ব্যবসা করতে হবে আর এই ব্যবসার যে মুনাফা হবে সেখান থেকে সমাজ উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে। আর্থিক দিক দিকে স্বাবলম্বী হলে তাহলে আমরা যেমন সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করব একই রকম ভাবে আমরা নতুন করে এক দিশা তৈরি করতে পারব।

ডাক্তার মুমতাজ সংঘমিতা পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপারসন বলেন আমাদেরকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে যে কোন লড়াই লড়তে হবে। দেশ বিভক্ত হওয়ার কারণে বাংলার যে পরিস্থিত এবং বুদ্ধিজীবী বাঙালি মুসলমান সমাজ ছিল। তারা ওপার বাংলায় চলে যায় ফলে এ বাংলাটা শূন্য হয়ে গিয়েছিল আজ সেই বাংলায় পূর্ণতার দিকে এগিয়ে চলেছে। তাই আমাদেরকে সবাইকে বিষাক্ত করে এগিয়ে যেতে পারলে আগামী দিনে আমরা বিশেষ করে মুসলিম সমাজ অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী হবে বলে তিনি মনে করেন।

অন্যান্যদের মধ্যে এদিন বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুলগ্না মন্ডল ভৌমিক, এস এম শামসুদ্দিন, বাউজুল হোসেন, কবিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, আবু সালেহ রিজওয়ানুল করিম প্রমুখ। কবিতা পাঠ করেন বন্দনা মালিক, আফ্রুজা খাতুন, আরেফা গোলদার, আবির আব্দুল্লাহ, আনজু মানওয়ারা আনসারী প্রমুখ। এছাড়া ইফফাত মাহমুদা ও ইসমাত মাহমুদার আবৃত্তি সকলের নজর কেড়েছে। হাফিজুর রহমানের কান্ডারী হুশিয়ার কবিতাটির আবৃত্তি সকলকে মুগ্ধ করেছে। এছাড়াও শিক্ষারত্নপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষক মোফক্কর হোসেন মল্লিকের গান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ডঃ মনীষা চক্রবর্তীর রবীন্দ্র সংগীত এবং নাসিমা খাতুনের গজল এবং রবীন্দ্র সংগীত  দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।

এদিনের সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব শামসের আলম আইআরএস।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ