দেশ 

শনিবার বেলা বারোটায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন সিদ্দারামাইয়া, শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী জোটে শান, আমন্ত্রণ মমতা সহ সব বিরোধী দলকে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :  কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথকে ঘিরে বিজেপি বিরোধী জোটের সম্ভাবনা দৃঢ় হতে চলেছে। আগামী শনিবার বেলা ১২ টায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিবেন সিদ্দারামাইয়া। জানা গেছে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম স্টালিন,তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, এন সি পি প্রধান শারদ পাওয়ার শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, ন্যাশনাল কনফারেন্স এর ফারুক আব্দুল্লাহ, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী, জনতা দল সেকুলারের দেবীগৌড়া ও কুমারস্বামী সহ দেশের সব বিরোধী দলের নেতাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে কর্ণাটক এর কংগ্রেস সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে।

এদিকে জানা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আজ বৃহস্পতিবারই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি আদৌ এই অনুষ্ঠানে যান কিনা তা নিয়ে জনমানষে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাঁচ দিন ধরে উৎকণ্ঠা চলার পর কর্নাটকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সিদ্দারামাইয়ার নাম ঘোষণা করল এআইসিসি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এআইসিসি এই নাম ঘোষণা করেনি আজ বৃহস্পতিবার রাতেই বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকের পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম।

Advertisement

এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শপথের দিন ঘোষণা করে বলেন, ‘‘আমরা সমমনস্ক দলগুলির নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানাব।’’ তবে আমন্ত্রিতের সেই তালিকায় কারা রয়েছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি।

৫ বছর আগে কর্নাটকের ‘সৌজন্যে’ ভারতীয় রাজনীতি এক সন্ধিক্ষণের সাক্ষী হয়েছিল। জেডিএস-কংগ্রেস জোটের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর শপথে দেখা গিয়েছিল বিজেপি বিরোধী নেতাদের ‘ঐতিহাসিক’ সমাবেশ। সনিয়া ও রাহুল গান্ধী, মমতা, সীতারাম ইয়েচুরি, চন্দ্রবাবু নায়ডু, অখিলেশ যাদব, মায়াবতী, শরদ পওয়ারদের দেখা গিয়েছিল এক মঞ্চে।

২০১৮-র ২৩ মে কুমারস্বামীর ওই শপথ কর্মসূচিকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ‘বিরোধী ঐক্যের সূচনা’ বলেও চিহ্নিত করেছিলেন ভোট পণ্ডিতদের অনেকেই। যদিও কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। পরবর্তী কয়েক মাসের মধ্যেই শিথিল হয়ে পড়েছিল বিরোধী জোটের বুনট। এ বার অবশ্য ৫ বছর আগেকার সেই ‘মেগা শো’র পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের সহযোগী দল ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন শনিবারের শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর দাবি, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে স্বয়ং স্ট্যালিনকে ফোন করেছেন বৃহস্পতিবার। এ ছাড়া, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার, আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদবকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ৩ জনেই বেঙ্গালুরুতে হাজির হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।

শরদের এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা (বালাসাহেব), হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, ওমর আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্সের মতো সহযোগী দলগুলি আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি বামেদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তবে আমন্ত্রণ পেলেও রাজনীতির বাধ্যবাধকতা মেনে মমতা, অখিলেশ, মায়াবতীরা শনিবার বেঙ্গালুরুতে হাজির হবেন কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকের।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ