এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণ মৃত তিন আহত চার
বাংলার জনরব ডেস্ক : মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, হঠাৎ তীব্র বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় গ্রামে। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে, ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে গ্রামের রাস্তায় ছিন্নভিন্ন দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, বিস্ফোরণের জেরে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তবে জেলা পুলিশ সুপারের দাবি, এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন চার জন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের জেরে বাজি কারখানাটি সম্পূর্ণ ভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। এ নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে সংবামাধ্যমকে বলেন, ‘‘ওড়িশা সীমানা থেকে কিছুটা দূরে একটা বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখানে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বিস্ফোরণের জেরে এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন চার জন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।’’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এগরা থানার পুলিশ। ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণের জেরে আগুন লেগে যায় একটি বাড়িতে। বেরোতে থাকে ধোঁয়াও। কানফাটানো শব্দ শুনে বেরিয়ে আসেন আশপাশের বাসিন্দারা। পুলিশের পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ইঞ্জিনও। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এর পিছনে অন্য কিছু রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ নিয়ে এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, ‘‘ওখানে বাজি কারখানা ছিল বলে খবর পেয়েছি। পুলিশ আগেই তল্লাশি করে বন্ধ করেছিল। তার পরেও লুকিয়ে কারখানা চলছিল। কত জন মারা গিয়েছেন তা এখন বলতে পারব না। প্রশাসনকে বলব কড়া হাতে দমন করতে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ ওই ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।