মানুষ পরিবর্তন চেয়েছে তাই কর্নাটকে পরিবর্তন হয়েছে বললেন মমতা, সোনিয়া রাহুলকে কেন অভিনন্দন জানালেন না তৃণমূল নেত্রী?
বাংলার জনরব ডেস্ক: কর্নাটকে কংগ্রেসের বিপুল জয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনন্দন জানালেন সেই রাজ্যের জনতাকে। তিনি টুইট বার্তায় বলেছেন মানুষ পরিবর্তন চেয়েছে বলে কর্নাটকে পরিবর্তন হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিনন্দন বার্তায় কোথাও কংগ্রেসের নাম নেই এমনকি কংগ্রেস নেতা সোনিয়ার রাহুল কিম্বা প্রিয়াঙ্কার প্রশংসাও তিনি করেননি। তা নিয়ে ইতিমধ্যে দেশের রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্নাটকে কংগ্রেসের জয় কে ভালো মনে মেনে নিচ্ছেন না! কেন তিনি মেনে নিচ্ছেন না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছে কর্ণাটকের মানুষ। তাদের ধন্যবাদ। মানুষ চাইলে কর্তৃত্ববাদী সরকার, তাদের একচ্ছত্র আধিপত্যকেও দমন করতে পারে।”
কর্ণাটকের ২২৪ আসনের মধ্যে ১৩৭ আসন জিতেছে কংগ্রেস। এর উলটোদিকে বিজেপি জয় পেয়েছে ৬৪টি আসনে। কংগ্রেসের এই বিপুল জয়ের নেপথ্যে যেসব নেতার ভূমিকা রয়েছে তাদেরকে কোন অভিনন্দন জানাননি মমতা।
মমতা লিখেছেন, “পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য কর্ণাটকের মানুষকে কুর্নিশ। পাশবিক, একচ্ছত্র ক্ষমতায় বিশ্বাসী রাজনীতির পরাজয় ঘটেছে। যখন মানুষ বহুত্ববাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তির জয় চায়, কেউ তাদের স্বতঃস্ফূর্ততাকে দমিয়ে রাখতে পারে না।” পরিশেষে তাঁর সংযোজন, “এটাই শেষ কথা। ভবিষ্যতের শিক্ষা।” তবে নাম না করে বিজেপিকে বিঁধলেও শুভেচ্ছাবার্তার কোথাও কংগ্রেসের নাম লিখলেন না তৃণমূল সভানেত্রী। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন। তবে কি বিজেপির মতো কংগ্রেসের সঙ্গেও দূরত্ব বজায় রাখছে তৃণমূল? তাই দক্ষিণ ভারতকে বিজেপিমুক্ত করলেও কংগ্রেসকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ তিনি?
দলনেত্রীর সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) গলাতেও। তাঁর কথায়,”মানুষ চেয়েছে বলেই পরিবর্তন। মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান না করতে চাইলে কোনও ভারত জোড়ো যাত্রা প্রভাব ফেলতে পারত না।”
অভিষেকের কথায়, “২০২১ সালে বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল বাংলা। এদিন সেই পথেই হাঁটল কর্ণাটক। বাংলা আজ যা ভাবে কাল গোটা দেশ তাই ভাবে।” রাজনৈতিক মহল বলছে, কর্ণাটকের জয়ের পিছনে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার প্রভাব রয়েছে। কিন্তু সেই প্রভাবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ অভিষেক। বরং গণদেবতার উপর ভরসা রাখছেন তিনি।