দেশ 

২০১৪ এর পর বড় সাফল্য কংগ্রেসের ! কংগ্রেস মুক্ত নয়, দক্ষিণ ভারত মুক্ত হলো বিজেপি!

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কর্নাটকে বিজেপির কাছ থেকে মসনদ ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। অবশ্য ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে কর্নাটকের মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। কংগ্রেস এবং জেডিএস মিলে সরকার গঠন করেছিল কিন্তু অপারেশন লোটাসের মাধ্যমে মোদি অমিত শাহরা পেছনের দরজা দিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তারপর কেটে গেছে চার বছর আবার ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে কর্ণাটকের মানুষ দুহাত ভরে ভোট দিল কংগ্রেসকে।

সোনিয়া রাহুল প্রিয়াঙ্কার আবেদনে সাড়া দিয়ে কর্ণাটকের মানুষ এমনভাবে কংগ্রেসকে জিতিয়েছে যে খুব সহজে আর অপারেশন লোটাস চালাতে পারবে না মোদির দল। তাই স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস মজবুত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কর্নাটকের সরকার চালাবে। এখনো পর্যন্ত গণনার যে ট্রেন্ড তাতে স্পষ্ট হয়েছে ১৩৮ টি আসন পেয়ে বিপুল গরিষ্ঠতায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস দল। আর এই অভূতপূর্ব সাফল্যে কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার সাংবাদিকদের কাছে কেঁদে ফেললেন।

বলা যেতে পারে ২০১৪ সালের পর থেকে এই প্রথম কংগ্রেস এত বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে একটি রাজ্যে ক্ষমতায় এলো। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন এই বছর আরও তিনটি বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে এই পরিস্থিতিতে কর্নাটকে কংগ্রেসের এই জয় তাদের অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। রাজনৈতিক গতিবিধি স্পষ্ট হচ্ছে যদি আগামী দিনের মধ্যপ্রদেশ রাজস্থান এবং ছত্রিশগড় এ যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই কংগ্রেস কিংবা কংগ্রেসের সহযোগী দলগুলি ক্ষমতায় থাকবে।

এরফলে বিজেপি আরো দুর্বল হয়ে যাবে, বিজেপির প্রভাব শুধুমাত্র উত্তর প্রদেশ এবং গুজরাটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। দক্ষিণ ভারতে কার যত বিজেপি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ভারত থেকে সেই অর্থে ভালো ফল করতে পারবে না বিজেপি। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র মধ্যপ্রদেশ ছত্রিশগড় হরিয়ানা, দিল্লি পাঞ্জাব সহ মধ্য ভারতের পুরো এলাকা জুড়ে বিজেপি বিরোধীরা ক্ষমতায় রয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এইসব এলাকায় খুব ভালো ফল করতে পারবেনা বিজেপি।

এই পরিস্থিতিতে কর্ণাটক বিধানসভার ফলাফল দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবে এই ফলে উজ্জীবিত কংগ্রেস আর সে কারণেই কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার সাংবাদিকদের কাছে কেঁদে ফেললেন আবেগে আপ্লুত হয়ে বলে ফেললেন অনেক কথা।

শিবকুমার বলেন, ‘‘দলের নেতাকর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। মানুষ আমাদের উপর ভরসা করেছেন। সমর্থন করেছেন।’’ এই জয় কারও একার নয় বলেও মন্তব্য করেছেন শিবকুমার। বলেছেন, ‘‘সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করেছি। সেই কারণেই এই সাফল্য এসেছে।’’

তার পরই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নাম নিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন শিবকুমার। কাঁদো কাঁদো গলায় বলেন, ‘‘সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেকে আশ্বস্ত করেছি যে কর্নাটকের সেবা করব।’’ সনিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে গলা বুজে আসে ৬১ বছর বয়সি শিবকুমারের। বলেন, ‘‘কখনওই ভুলব না যে, জেলে আমার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী।’’

ধন্যবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকেও। কংগ্রেসের জয়ের ছবি স্পষ্ট হতেই সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে। তবে এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি শিবকুমার। তিনি শুধু বলেছেন, ‘‘কংগ্রেসের দফতর আমাদের কাছে মন্দির। কংগ্রেস দফতরে আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করব।’’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ