দেশ 

কর্নাটকের ফল স্পষ্ট হতেই বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দেশের প্রধানমন্ত্রীর স্বয়ং নির্বাচনী সভায় বজরংবলীর জয় বলে স্লোগান দিতেন আর শনিবার সকালে কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপির বিপুল পরাজয়ের খবর আসার পরেই পাল্টা খোঁচা দিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আর জেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি এদিন বলেন,‘‘বোঝা যাচ্ছে দেবতা বজরং‌বলী (হনুমান) এখন বিজেপির উপরে খুব রেগে রয়েছেন।’’ কর্নাটকে কংগ্রেসের সাফল্যের আঁচ মেলার পর দিল্লিতে এআইসিসি সদর দফতরেও বজরংবলী সেজে হাজির হন দলের এক কর্মী!

প্রসঙ্গত, কর্নাটকের বিধানসভা ভোটের প্রচারের শেষ পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানকে প্রচারের প্রধান হাতিয়ার করেছিলেন। তাঁর নিশানায় ছিল গত ২ মে কংগ্রেস প্রকাশিত কর্নাটক বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী ইস্তাহার। তাতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কংগ্রেস কর্নাটকে ক্ষমতায় এলে সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠন বজরং দল কিংবা কট্টরপন্থী মুসলিম সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-র মতো ধর্মীয় প্ররোচনা সৃষ্টিকারী সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। যে ভাবে পিএফআই নিষিদ্ধ হয়েছে, সে ভাবেই নিষিদ্ধ করা হবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব শাখা বজরং দলকে।

এর পরেই নিয়ম করে প্রতিটি নির্বাচনী জনসভায় ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগান দিতে শুরু করেছিলেন মোদী। তিনি প্রচারসভায় অভিযোগ করেন, ‘‘কংগ্রেস আগে রামনামের উপর বিধিনিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল, এখন তারা ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে।’’ বিজেপি নেতা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কে ইশ্বরাপ্পাকে প্রকাশ্যে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার পোড়াতে দেখা গিয়েছিল।

কর্ণাটকের নির্বাচনের ফলাফল থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে, ওই রাজ্যের মানুষ শান্তি চাই সংহতি চাই সম্প্রীতি চাই। বিগত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণের এই শিক্ষিত রাজ্যে যেভাবে বিজেপি হিজাব ইস্যু থেকে শুরু করে নানা ইসুতে হিন্দুত্বকে সামনে আনার চেষ্টা করেছে তা কর্নাটকের সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারেনি। ফলে কর্নাটকে কার্যত বিজেপি বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে গেল। সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষা কে ব্যর্থ করে কংগ্রেস একক গরিষ্ঠতা লাভ করল।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ