পুলিশের চোখ এড়িয়ে থানা থেকে পালিয়ে সোজা গঙ্গায় ঝাঁপ চোরের তারপর….
বাংলার জনরব ডেস্ক : এক চোরকে ধরে এনে বালি থানার মধ্যে রাখা হয় আর ওই চালাক চোর পুলিশকে এড়িয়ে থানা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশের যখন বিষয়টি নজরে পড়ে তখন চোর গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছে। পুলিশ গঙ্গার কাছে এসে থমকে দাঁড়ায় ইতিমধ্যে এক ব্যক্তি চোর ধরার জন্য সেও গঙ্গায় ঝাঁপ দেয় তবেই ব্যক্তি পুলিশ নয় স্থানীয় এক বাসিন্দা।
শেষমেষ চোর মাস ধরিয়া গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এমন সময় একটা নৌকায় উঠে পড়ে সেই নৌকার মাঝি এবং ঝাঁপিয়ে পড়া ওই ব্যক্তিটি দুজন মিলে চোরকে ধরে পাড়ে নিয়ে আসে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বালি থানার হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে একজন চোর পুলিশের অধীনে থাকার পর কিভাবে থানা থেকে পালিয়ে গিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিল। থানার ভিতরেও যদি চোরেদের নজরদারি না থাকে তাহলে কোথায় থাকবে?
ঘটনার বিবরনে জানা যায় রবিবার বালি থানার পুলিশের অসতর্কতায় ঘটে গেল অঘটন। থানা থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেল চোর সোজা ঝাঁপ মারল গঙ্গায়। পিছন পিছন পুলিশ তাড়া করে গেলেও গঙ্গার ধারে গিয়ে থমকে যায়। কারণ, ততক্ষণে চোর সাঁতরে (Swimming)মাঝগঙ্গায়। তার পিছনে কে ধাওয়া করবে? সাঁতারের পটু চোর ততক্ষণে বেশ কিছুটা দূরে চলে গিয়েছে। জোয়ারের টানে সে ধীরে ধীরে বালি ব্রিজের দিকে চলে যায়।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের গঙ্গার ঘাট থেকে ‘চোর চোর’ চিৎকার করতে থাকেন। ব্রিজের কাছাকাছি থাকা একটি মাছধরার নৌকার মাঝিদের নজরে পড়ে বিষয়টি। ততক্ষণে এক সাধারণ মানুষ চোরকে তাড়া করে গঙ্গায় ঝাঁপ মেরেছে। দীর্ঘ সাঁতারের ক্লান্ত চোর ততক্ষণে বাঁচার জন্য আকড়ে ধরেছে নৌকা। আর তাতেই তাকে ধরার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়। চোরকে নৌকায় তুলে বালির নিমতলা ঘাটে নিয়ে আসা হয়। তখন পুলিশ তাকে ধরে ফের থানায় নিয়ে আসে।
চোর ধরতে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া বিশ্বজিৎ অধিকারী জানাচ্ছেন, গঙ্গার পাশে তাঁর বাড়ি। তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা ‘চোর চোর’ শুনে তিনি উঠে যান। জানতে পারেন যে চোর গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপ দিয়ে চোরের পিছু ধাওয়া করেন।