এন সি পি সভাপতি পদে শরদ পাওয়ার থেকে গেলেন!
বাংলার জনরব ডেস্ক : এন সি পি সভাপতি হিসাবে শারদ পাওয়ারই থেকে গেলেন সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান করে। মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে শারদ পাওয়ার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বলে পরিচিত। তিনি গত মঙ্গলবার হঠাৎই দলের সুপ্রিমো পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন। আর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বটেই সমগ্র দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়। কারণ শরদ পাওয়ার এমন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম কান্ডারী হতে পারেন। এই ঘটনার পরে পরেই রাহুল গান্ধী ফোন করেন শরদ পাওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সোলেকে।
দলের সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার পর পরবর্তী সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে দেন শরদ পাওয়ার নিজেই। এই কমিটিতে যেমন দলের প্রবীণ নেতারা রয়েছেন একই সঙ্গে আছেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার এবং তার কন্যা সুপ্রিয়া সোলে। ৭২ ঘণ্টার পর এই কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে শরদ পাওয়ারই এনসিপির সভাপতি হিসেবে কাজ করে যাবেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে কথা বলতে গিয়ে এনসিপির প্রবীণ নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল বলেছেন, দলের কর্মীদের আবেগ এবং মানুষের ভালবাসাকে মর্যাদা দিয়ে আমরা শরদ পাওয়ারকেই দলের সভাপতি পদে থেকে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব রাখছি। অভ্যন্তরীণ কমিটির এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা মহারাষ্ট্র জুড়ে এনসিপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা চরমে উঠেছে।
প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন বিরোধী দলনেতা অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে যে নানা খবর প্রকাশিত হচ্ছিল তারই পরিপ্রেক্ষিতে শরদ পাওয়ার দলের সভাপতি পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। কারণ মহারাষ্ট্রের এই প্রবীণ নেতা কোনোভাবেই বিজেপির সঙ্গে নিজের নাম জড়াতে চাইছেন না। উল্টোদিকে তার ভাইপো অজিত পাওয়ার ইতিমধ্যেই ৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু শরদ পাওয়ারের একটা কৌশলে সব কিছু কুপোকাত হয়ে গেল। সূত্রের খবর এনসিপির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে সম্ভবত শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সোলের নাম উঠে আসতে পারে।