জেলা 

ঠান্ডা পড়তেই শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীদের ভীড় ফুটপাত জুড়ে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

দক্ষিণ দিনাজপুরঃ গত কয়েকদিন ধরে শীত শীত করছে শীতের আমেজে অনেকে যবুথবু আর তাই শীত থেকে বাঁচতে অগ্রীম প্রয়োজন শীতের পোশাক আর সে কারনে খুচরা ব্যবসায়ীরা ফুটপাতগুলোতে বসছে শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে। কয়েক দিনের শীতের আমেজে জেলার বিভিন্ন ফুটপাতের দোকানগুলোয় যেন শীতের পোশাক কেনার ধুম পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ রাস্তার পাশের এসব দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।
সরেজমিনে মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, শীত বস্ত্রের মধ্যে বেশি বেচা-বিক্রি হচ্ছে- ছোট বাচ্চা ও বয়স্কদের কাপড়। মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাত মোজা, মাফলার, স্যোয়েটার, জাম্পার, ফুলহাতা গেঞ্জির দোকানেই বেশি ভিড় দেখা গেছে।
রীতা বসাক নামে এক মহিলা তার বাচ্চার জন্য ফুটপাতে শীতবস্ত্র কিনতে এসেছেন। তিনি জানান, গত কয়েকদিন শীতের আমেজ পড়ছে। তাই ছেলের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। শীত আসলে কেনা কাটার ধুম বেড়ে যায়। কিছুদিন পরপরই বাচ্চার জন্য কিনতে হয়। তিনি আরও জানান, ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের অনেক ভালো পোশাক পাওয়া য়ায়। দামের দিক দিয়েও মোটামুটি সস্তা। তবে দরদাম করেই পোশাক কিনছি।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানগুলোতে চলে বেচা-কেনা। প্রতিবছর শীত মৌসুম আসলেই তাদের বিক্রি বেশ ভালো হয়। গত কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা থাকায় শীতার্থ মানুষ প্রচন্ড শীত থেকে রক্ষা পেতে তাদের সামর্থনুযায়ী ভীড় জমাচ্ছেন বড় শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য হরেক রঙয়ের ও ঢংয়ের বাহারী পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। বেশিরভাগ ব্যাবসায়ীরা কলকাতা ও শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন মার্কেট থেকে হরেক ডিজাইনের শীতের পোশাকের কিনে আনেন বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা।
সুদেব রাউত নামে এক দোকানদার জানান, আমি টানা পাঁচ বছর ধরে শীত বস্ত্র রাজ্যের বিভিন্ন ফুটপাতে বিক্রি করি। বড়দের সোয়েটার, বাচ্চাদের কাপড় ও মহিলাদের সোয়েটারও বিক্রি করি। যেমন আমার দোকানে হাইগলা গেঞ্জির দাম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। টুপিওয়ালা গেঞ্জি দাম ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। বাচ্চাদের প্রতিটি আইটেমই ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। কোনো পোশাকের মূল্য নির্দিষ্ট করা থাকে না। যার কাছে যেমন পারি তেমন দামে বিক্রি করি।
ফুটপাতের দোকানে মহিলাদের একটি সোয়েটারের দাম ১০০ থেকে ১৫০, বাচ্চাদের কাপড় ৪০ থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, মাফলার ৫০ থেকে ২৫০ টকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সাধ্যের মধ্য থেকেই পছন্দের শীতের পোশাকটি বেছে নিতে চেষ্টা করেন নিম্মবিত্ত দরিদ্র মানুষেরা। শীতে হাতমোজার ও কানটুপি ব্যবহারও অনেক বেশি। দামও অনেক সীমিত। হাতমোজা জোড়া প্রতি ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, কানটুপি ছোটদের জন্য ৪০ টাকা এবং বড়দের জন্য ৬০ টকায় বিক্রি হচ্ছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

14 + one =