পশ্চিমবঙ্গ আন্ – এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটির মালদা জেলার পক্ষ থেকে গণডেপুটেশন জেলাশাসককে
বিশেষ প্রতিনিধি : পশ্চিমবঙ্গ আন্ – এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটির মালদা জেলার পক্ষ থেকে আজ গণডেপুটেশন দিল জেলাশাসককে। মালদা জেলার আন্ এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটির সম্পাদক মোঃ ফারমান আলি বলেন যে, মালদা জেলায় মাত্র ১০ টি আন্ এডেড মাদ্রাসার অনুমোদন দিয়েছে মা – মাটি – মানুষের সরকার। দীর্ঘ ৫ বছর অনুমোদন পাওয়ার পরও আজ পর্যন্ত কোন অনুদান দেয় নি রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গের এই পিছিয়ে পড়া জেলায় সংখ্যালঘু এলাকায় মাদ্রাসা বা স্কুলের সংখ্যা খুব নগন্য। এরপরও আন্ এডেড মাদ্রাসাগুলিতে মিড- ডে- মিল, ট্রয়লেট, কন্যাশ্রী, সবুজসাথী, বিল্ডিং থেকে শুরু করে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কোন বেতন দেওয়া হয় না।
পশ্চিমবঙ্গ আন্ এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটির রাজ্য সম্পাদক ও লড়াকু নেতা আব্দুল ওহাব মোল্লা বাংলার জনরবকে বলেন যে, আন্ এডেড মাদ্রাসাগুলিতে অনুদান দিতে রাজ্য সরকারের অনিচ্ছার কারন হলো – সংখ্যালঘুরা যাতে মূল স্রোতে ফিরে আসতে না পারে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভোটে ক্ষমতায় এসে আজ মমতা সরকার সংখ্যালঘুদের কথা ভূলে গেছে।
কয়েকশো শিক্ষক ও শিক্ষিকা আজ জেলাশাসকের ঘরের সামনে দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ দেখানোর পর সংগঠনের জেলা সম্পাদক ও সভাপতিদের নিয়ে জেলাশাসক বৈঠকে বসেন । তাঁদের দাবীগুলি মন দিয়ে শুনলেন এবং বললেন আপনার দাবী গুলি যুক্তি সংগত। জেলাশাসক আরো জানায় স্বারকলিপির কপি নবান্নে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং আগামী ২০১৯ এর সেশন থেকে যাতে দাবী গুলি বাস্তবায়িত হয় তার জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
মা মাটি মানুষের সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন, দশ হাজার আন এডেড মাদ্রাসার অনুমোদন ও অনুদান দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৩৪ টি মাদ্রাসার অনুমোদন দিয়েছে আর এরমধ্যে ১৮২ টি মাদ্রাসা মুর্শিদাবাদ সহ উত্তরবঙ্গে অবস্থিত। মুখ্যমন্ত্রী বছরে দশবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন বটে কিন্তু এই এলাকার পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘুদের কথা একবারও তাঁর মনে পড়ছে না। এই মাদ্রাসাগুলিতে সরকার অনুদানের ব্যবস্থা করে দিলে এলাকায় শিক্ষার প্রভাব আরো বেশি পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।