কলকাতা 

মুকুল রায় দিল্লি থেকে ফিরলেন কী পেলেন দিল্লি সফরে?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কলকাতায় ফিরলেন মুকুল রায়। আজ শনিবার দুপুরের বিমানে তিনি দমদম বিমানবন্দরে নামেন। কত ১৭ ই এপ্রিল সন্ধ্যায় হঠাৎ করে ই দিল্লি চলে যান মুকুল রায়। বাংলার রাজনীতির অন্যতম চাণক্য মুকুল রায়ের দিল্লি সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহলের শোরগোল পড়ে যায়। কিন্তু তিনি এই ১২ দিন দিল্লিতে গিয়ে কি করলেন? তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে! দিল্লি গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন আমি বিজেপিতে থাকতে চাই বিজেপির হয়ে কাজ করতে চাই আমি নাডাজির সঙ্গে দেখা করব আমি অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করব আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করব। এমনকি বিজয় কৈলাস বর্গীর সঙ্গেও দেখা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।

বাংলা সংবাদমাধ্যমে মুকুল রায়ের দিল্লি সফর নিয়ে দু একদিন খবর প্রকাশিত হলেও তারপর থেকে তিনি খবরে ছিলেন না। তাহলে দিল্লিতে গিয়ে এই ১২ দিনে মুকুল রায় কি কাজ করলেন?

যদিও মুকুল রায় আজ আজ শনিবার দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার সঙ্গে সবার দেখা হয়েছে। কেউ আমাকে এড়িয়ে যাননি।’’মুকুল এমন দাবি করলেও, রাজধানীর কারবারীদের একাংশের মতে, দিল্লি থেকে মুকুলকে ‘শূন্য হাতে’ই ফিরতে হয়েছে।

উল্লেখ্য, দিল্লিতে পা দিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় চেয়েছিলেন মুকুল। কিন্তু রাজধানীর একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই তিন নেতা তো নয়ই, বিজেপির কোনও প্রথম সারির নেতার সঙ্গে দেখা না করতে পেরেই কলকাতায় ফিরতে হয়েছে মুকুলকে। তবে বিমানবন্দরে মুকুল জানিয়েছেন, ‘‘বিজেপিতেই আছি, প্রয়োজনে আবার দিল্লি যাব।’’

রাজধানীর রাজনৈতিক মহল মুকুলের এই সফরকে নিষ্ফলা বললেও, তাঁর এক দীর্ঘ দিনের অনুগামী তা মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘১৭ তারিখে দিল্লি গিয়ে ১২ দিন দিল্লিতে ছিলেন মুকুলদা। এই সময়ে তিনি কী করেছেন, কার কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, কেউ জানে না। মুকুলদা চেয়েছেন বলেই কেউ জানতে পারেননি। তাই তাঁর এই সফর যে নিষ্ফলা হয়েছে, তা এখনই বলার সময় আসেনি।’’

রাজনৈতিক মহল মনে করছে মুকুল রায় যখন দিল্লি গিয়েছিলেন ঠিক সেই সময় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশ খানিকটা বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি শাসকদলের সেকেন্ড হ্যান্ড কমান্ডকে জেরা করার ও নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর মকুল রায় যখন দিল্লি থেকে ফিরে এলেন তখন দেখা গেল নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সবচেয়ে সরব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলা থেকেই সরে গেলেন। যদিও এর মধ্যে কোন মিল খোজাটা বোকামো ছাড়া আর কিছুই নয় তবু রাজনীতির কারবারিরা কোথাও যেন একটু খটকা দেখতে পাচ্ছেন।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ