বিলাসবহুল গাড়িকে রথ বানিয়ে বঙ্গ বিজেপি-র রাজ্য জুড়ে রথযাত্রা
বিশেষ প্রতিনিধি : বিজেপি-র রথকে ব্যঙ্গ করে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন রথ তো নয় ওটা ফাইফ স্টার হোটেল । নেতারা কিছুদিন আরাম-আয়াসে কাটানোর জন্য এই রথযাত্রা । কিন্ত বাস্তবিকই বিজেপি রাজ্যে প্রথমবার রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়েছে , সেই রথ আসলে একটি ভিআইপি বাস বললে কম বলা হয় । আসলে এটা বাসের মতো দেখতে এই রথগুলি থাকবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। খোলা যাবে হুড। সেখানে থাকবে একটি উঁচু জায়গা। যেখান থেকে নেতারা বক্তব্য রাখতে পারবেন। রথের মধ্যে কমপক্ষে ৭ থেকে ১০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকছে। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আলাদা একটি কেবিনও থাকবে। এছাড়া রাখা থাকবে ইন্টারনেট ও ল্যাপটপ। ওষুধের জন্য আলাদা একটি কাউন্টার থাকবে। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে তারজন্য চিকিৎসারও ব্যবস্থা থাকছে রথেই। রথের ভিতরেই থাকবে বায়োটয়লেট। খাবার রাখার জন্য থাকবে একটি কেবিন। ভিতরে থাকবে বিশেষ প্রজেক্টর। রথের গায়ে দুটি জায়েন্ট স্ক্রিন বসানো হবে। যখন রথ যাবে তখন দু’দিকেই তথ্যচিত্র চালানো হবে। রথের উপরে থাকবে মাইক। রথগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে দিল্লি থেকে আসবে বিশেষ টিম। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ থেকে বিজেপি-র রথযাত্রা পরিচালনা করার জন্য নেতৃত্বকে আনা হবে।
দলীয় সূত্রে খবর, ৩টি জায়গাতেই এই রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনা করবেন অমিত শাহ। সেই কারণে তারাপীঠ, কোচবিহার ও গঙ্গাসাগরে কর্মসূচি শুরুর জায়গায় জনসভার জন্য বিশেষ মাঠের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বানানো হচ্ছে হেলিপ্যাড।
অবশ্য দলের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যতই আমাদের রথকে ফাইভস্টার রথ বলে কটাক্ষ করুন সেগুলি সম্পূর্ণ সাধারণভাবেই তৈরি করা হচ্ছে। নেতাদের আরাম করার জন্য কোনও আরাম কেদারা নেই এই রথে। ওষুধ, পানীয় জল, ইন্টারনেট এগুলো তো জরুরি পরিষেবার মধ্যেই পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি এগুলোকে ফাইভস্টার বলেন তা হলে একটি রথ আমরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেব।”
৫ তারিখ তারাপীঠ, ৭ তারিখ কোচবিহার, ৯ তারিখ গঙ্গাসাগর থেকে রথযাত্রা কর্মসূচির সূচনা হবে। তিনটি রথের যাত্রা শেষ হবে কলকাতায়। এখানেই নরেন্দ্র মোদির জনসভা করার কথা। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিজেপি তাদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে পারে কি না এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
ছবি : প্রতীকি