কলকাতা 

ডি.এ মামলায় কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবীর যুক্তিকে মেনে নিয়েও আর্থিক কারণেই কেন্দ্রীয় হারে ডি.এ দিতে পারছে না অভিমত রাজ্যের, ২০ নভেম্বর ডিএ মামলার রায় ?

শেয়ার করুন
  • 3
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি : কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের আইনজীবী সরদার আমজাদ আলি স্যাটের কাছে ডিএ মামলার শুনানীতে স্পষ্ট বলেন, হাইকোর্ট বলে দিয়েছে দুটো জিনিস SAT বিচার করবে। একটি হল, অল ইন্ডিয়া কনজ়িউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুসারে ডিএ দেওয়ার কথা  রাজ্য সরকারের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মত রাজ্য সরকারের তৈরি রোপা রুল বলা হয়েছে। এ থেকে পরিস্কার সরকার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে বাধ্য ।এখন সরকার দেবে কি দেবে না ? ইয়েস অর নো। এই উত্তর স্যাটের কাছে রাজ্য সরকারকে দিতে হবে ।দ্বিতীয় অভিযোগটি হল সরকার বৈষম্য করছে। দিল্লি ও চেন্নাইয়ে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া ডিএকে মানদন্ড ধরে। কিন্তু,একই রাজ্য সরকারি কর্মচারীহওয়া সত্ত্বে তা দেওয়া হচ্ছে না । কেন এটা হচ্ছে ? এই বৈষম্য তো মেনে নেওয়া যায় না।সওয়াল চলাকালীন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি বলেন,এপ্রসঙ্গে তাঁর সাফ কথা, সরকার বকেয়াসহ মহার্ঘভাতা দেবে ? নাকি বকেয়াটা থাকবে ? সরকার স্পষ্ট ভাবে হ্যাঁ বা না বলুক। সরকারের বক্তব্যে আমরা যদি সন্তুষ্ট হই ভালো, নাহলে হাইকোর্টের দরজা খোলা রয়েছে।

সরদার আমজাদ আলীর সওয়ালের পর রাজ্য সরকারের আইনজীবী স্যাটের কাছে বলেন, সরকারের আর্থিক পরিস্থিতির কারণেই কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না । এর উত্তরে সরদার আমজাদ আলী বলেন, সরকার খেলা-মেলা থেকে শুরু নানা রকম ভাতা চালু করেছে সেখানে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, আর নিজের কর্মচারীদের মাইনে দেওয়ার সময় আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ বলে কাঁদুনী গাইছে । এটা মেনে নেওয়া যায় না।

Advertisement

এর পর স্যাটের বিচারপতি বলেন, আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের পক্ষ থেকে যেসব তথ্য-প্রমাণ হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছিল তার কপিগুলি স্যাটের জমা দিতে । তারপরেই স্যাট এই মামলার রায় দিতে পারে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ্য,৩১ অগাস্ট ডিএ মামলা নিয়ে উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ  বলেছিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা পাওয়া আইনত অধিকার। দয়ার দান নয়। হাইকোর্টের এই রায়ে খুশি হয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। এরপর মামলাটি স্টেট‌ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে‌ ফেরে। গতকাল দুটি বিষয়ে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্যাট। একটি হল কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার সমহার নিয়ে। অন্যটি হল, চেন্নাই ও দিল্লিতে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সমান মহার্ঘভাতা নিয়ে।  উল্লেখ্য, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার বর্তমান ফারাক ৪৭ শতাংশ।

 

 


শেয়ার করুন
  • 3
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

12 − five =