সংখ্যালঘু ভোট কিভাবে তৃণমূলে অটুট থাকবে তা দেখতে পাঁচ জনের কমিটি, মাদ্রাসায় ১৭২৯ শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়, বাঙালি মুসলিম সমাজের মন পেতে মমতার বিশেষ প্রচেষ্টা!
বাংলার জনরব ডেস্ক : সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস ফের সংখ্যালঘু মুসলিমদের মন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। সংখ্যালঘু সমাজ অর্থাৎ বাঙালি মুসলিম সমাজ কেন তৃণমূলের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে তা নিয়ে গঠিত হয়েছে পাঁচজনের কমিটি। এই পাঁচজনের কমিটিতে রয়েছেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী,সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী গোলাম রাব্বানী, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আখরুজ্জামান এবং বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। এই পাঁচজন কেন সাগর দিঘিতে হেরে গেছে তৃণমূল তা পর্যালোচনা করার পাশাপাশি আগামী দিনে কিভাবে মুসলিম ভোট তৃণমূলে অটুট রাখা যাবে সেই প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এইসব নেতারা দেবেন বলে জানা গেছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের দাবি বাঙালি মুসলিম সমাজের সঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মমতা সরকার যে আচরণ করেছে তা খুব সহজে সমাধান হবে না। বাঙালি মুসলিম ভোট তৃণমূল এখনই ফিরে পাবে না বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
এদিকে শুধু কমিটি গড়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব শেষ করেননি, একই সঙ্গে তিনি রাজ্যের মাদ্রাসা গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে আড়াই হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এর মধ্যে মাদ্রাসায় এক হাজার ৭২৯ জন শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে এই শিক্ষক নিয়োগ হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই কোন কোন বিভাগে নিয়োগ হবে, তার বিস্তারিত তথ্যও প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, সংঘ্যালঘু দফতরের অধীনে মাদ্রাসায় ১৭২৯ জন, কৃষি দপ্তরের অধীনে অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টরের পদে ১২২ জন, আদিবাদী অধ্যুষিত পুরুলিয়া ও বান্দোয়ানের একলব্য স্কুলে বিভিন্ন পদে ৭৪ কর্মী নিয়োগ করা হবে। ঝাড়গ্রামে প্রাক্তন মাওবাদী কিংবা মাওবাদীদের লিংকম্যান হিসেবে কাজ করত, এমন ২২ জনকে রাজ্যপুলিশের হোমগার্ড পদে নিয়োগ করা হবে। একইভাবে দুই প্রাক্তন কেএলও জঙ্গিকে কোচবিহারের স্পেশ্যাল হোমগার্ড পদে নিয়োগ।
কালিম্পং এবং ঝাড়গ্রামে সমবায় দফতরের বিভিন্ন পদে ৪৪ জন নিয়োগ। গ্রন্থাগারিক পদে ৭২৯ জনকে চাকরি দেওয়া হবে। অর্থাৎ মোট ২৭২২ জন কর্মী নিয়োগ করা হতে চলেছে। যদিও মন্ত্রীসভা ছাড়পত্র দেওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত কবে কার্যকরী হবে তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে।