ঘুষ নিয়ে ধরা পড়ার পর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বিজেপি বিধায়কের পুত্রের বাড়ি থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা, কর্নাটকের এই ঘটনায় অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব, স্বচ্ছতার প্রতীক নরেন্দ্র মোদী নিরব কেন?
বাংলার জনরব ডেস্ক : দুর্নীতি শুধু পশ্চিমবাংলায় নয়, সমগ্র ভারত জুড়েই দুর্নীতি চেপে বসে আছে। বিজেপি দল যারা নিজেকে স্বচ্ছতার প্রতীক বলে দাবি করে থাকেন না খাওয়াঙ্গে না খানে দুঙ্গি এই স্লোগান দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্য আজ বিজেপি দলের ভেতরে দুর্নীতি এমনভাবে বাসা বেধেছে যা কল্পনাতীত। বেশ কয়েক মাস ধরে ই বিজেপি শাসিত কর্ণাটক থেকে অভিযোগ আসছিল সেখানে ঘুষ ছাড়া কোন কাজই হচ্ছে না তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় এজেন্সি গুলি নিরব দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগ আসার পর কর্ণাটক সরকারের লোকায়ুক্তের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানেই দেখা যায় কর্নাটকের বিজেপির এক প্রভাবশালী বিধায়কের পুত্র ঘুষ নিচ্ছেন এবং এই ঘুষ নেওয়ার দৃশ্য হাতেনাতে ধরে লোকায়ুক্তের আধিকারিকরা। এরপর বিধায়ক পুত্রের বাড়ি তল্লাশি চালালে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। কর্ণাটক প্রশাসনের তরফে শুক্রবার সকালে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ওই বিধায়ক পুত্রের বাড়ি থেকে ছয় কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তল্লাশি অভিযান এখনো চলছে।
কর্নাটক সরকারের তরফে গঠিত লোকায়ুক্তের দুর্নীতি বিরোধী শাখার আধিকারিকেরা বৃহস্পতি বার তল্লাশি চালান রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক মাদল বিরূপাক্ষের পুত্র প্রশান্ত মাদলের বাড়িতে। এই তল্লাশি অভিযানেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। তার এক দিন আগেই ঘুষ নিতে গিয়ে লোকায়ুক্তের তদন্তকারীদের হাতে ধরা পড়েছিলেন প্রশান্ত। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর জনবণ্টন এবং নিকাশি সংস্থার মুখ্য হিসাবরক্ষক হিসাবে ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁর অফিস থেকে টাকা ভর্তি ৩টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। কর্নাটক লোকায়ুক্তের এক আধিকারিক জানান, তাঁর অফিস থেকে বৃহস্পতিবারই ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তারপরই তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সম্প্রতি বিধায়কপুত্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরই ফাঁদ পাতেন তদন্তকারীরা। পরিচয় গোপন করা জনৈক তদন্তকারীর সামনে ঘুষ চাইতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তের বাবা মাদলও রাজ্যের প্রভাবশালী বিধায়ক। কর্নাটক সরকারের অধীনস্ত ‘কর্নাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্ট’ সংস্থার চেয়ারম্যান তিনি। এই সংস্থার তৈরি ‘মাইশোর স্যান্ডেল’ সারা ভারতে বিখ্যাত। বিধায়কপুত্রের এই কীর্তি নিয়ে আপাতত সরগরম কর্নাটক রাজ্য রাজনীতি।