কলকাতা 

বিধানসভায় নজিরবিহীন ঘটনা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে স্পিকারের কাছে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : রাজ্যপালের ভাষণের তথ্য নিয়ে স্পিকার অবিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে বিতর্ক বেধে যায়।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলতে উঠে অভিযোগের সুরে বলেন, “রাজ্যপালকে দিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ানো হচ্ছে।” রাজ্যপালের বক্তব্যে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের প্রসঙ্গও ছিল না বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু যখন বক্তব্য রাখছেন, তখন তাঁর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সময় বিজেপি বিধায়করা ‘পিসি চোর, ভাইপো চোর’ স্লোগান তোলেন। তার পর পদ্ম-বিধায়করা স্লোগান দিতে দিতেই বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান।

স্পিকারের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনার কথা ঘোষণা করেন তিনি। পাল্টা স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা জানান শুভেন্দু। রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে জবাবি বক্তব্য রাখতে উঠে শুরুতেই স্পিকারের কাছে ‘শুভেন্দুর হয়ে ক্ষমা’ চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

সোমবার বলতে উঠে শুভেন্দু রাজ্যের ‘সন্ত্রাস’ এবং ‘দুর্নীতি’ ইস্যুতে সরব হন। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা না হলেও তৃণমূল নেতারা হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়েও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন শুভেন্দু।

কেন্দ্রীয় অনুদান হিসাবে পাওয়া অর্থ অন্য খাতে খরচ করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের একাধিক বিধায়ক জেলে থাকলেও এ সব প্রসঙ্গ কেন রাজ্যপালের ভাষণে শোনা যায়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সরকারি আমলারা বাসভবন পাওয়ার পরেও কেন তাঁদের বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে, তা নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

স্পিকার ক্ষুব্ধ হওয়ার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা অবশ্যই নজিরবিহীন ঘটনা। তবে প্রশ্ন উঠেছে শুভেন্দুর হয়ে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগে হলেন কেন?

 

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ