জেলা 

গ্রামবাসীদের প্রবল বিক্ষোভ সত্ত্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রায় ৫০ দিন পর তালা খোলা হল দাড়িভিট হাইস্কুলের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিবেদক : সকাল থেকে টানটান উত্তেজনার মধ্যে শেষ পর্যন্ত খুলল ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। একদিকে প্রশাসন, অন্যদিকে গ্রামবাসীরা। প্রবল দড়ি টানাটানির শেষে জেলা  শাসকের হস্তক্ষেপে এক মাস ২০ দিন পর খুলল উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল

সরকারের ঘোষণা মত আজ স্কুল খোলার কথা থাকলেও, সকাল থেকেই গ্রামবাসীরা নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন প্রধান শিক্ষক সহ প্রধান শিক্ষক অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এই দাবিতে স্কুল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। একইসঙ্গে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ধৃত গ্রামবাসীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তারা। পাশাপাশি, দুই ছাত্রের খুনের ঘটনায় সিবিআইকে তদন্ত করানোর দাবিতে অনড় থাকেন তারা।

Advertisement

দিন সকাল থেকে স্কুলের সামনে অবস্থান শুরু করেন নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্য স্থানীয়রা। উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী এদিনও স্কুলের ভিতর ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই স্কুলে চলে আসেন ডিআই এসডিও। দফায় দফায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের আলোচনায় বসেন তাঁরা। কিন্ত তারপরেও পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেনি। মৃত দুই ছাত্রের পরিবারের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, জেলাশাসক ছাড়া কারোও হাতে স্কুলের চাবি তুলে দেবেন না।

এই টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে আজও অনেক পড়ুয়া স্কুলে এসেও ঢুকতে না পেরে ফিরে যায়। শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সব দাবি মানা হবে বলে আশ্বাস দেন এসডিও। এসডিও আশ্বাস পাওয়ার পরই স্কুল খোলার ক্ষেত্রে রাজি হন আন্দোলনকারী গ্রামবাসীরা।

প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২১ সেপ্টেম্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। 

পড়ুয়াপুলিস সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্কুল চত্বর। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাজেশ সরকার নামে এক প্রাক্তন ছাত্রের। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাপস বর্মণ নামে আরও এক প্রাক্তনীর। এই ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। নিহত ছাত্রদের পরিবারের দাবি, পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে তাদের ছেলের। মৃতের পরিবার সহ গ্রামবাসীরা দুই ছাত্রের মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানোর দাবিতে এত দিন স্কুল খুলতে দেয়নি গ্রামবাসীরা বিষয়টিতে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রধান শিক্ষক সহকারি প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয় এবং পরিচালন সমিতি ভেঙে দিয়ে মহকুমা শাসককে দায়িত্ব দেওয়া হয় এরপরেই ১০ নভেম্বর স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় বিকাশ ভবন সেই মত আজ স্কুল খুলতে যায় প্রশাসন প্রথমে বাধা দিলও শেষ পর্যন্ত জেলা শাসকের হস্তক্ষেপে দাড়িভিট স্কুলের গেট খোলা হয় ফলে দীর্ঘ ৫০ দিন ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান হল

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

6 − 2 =