কলকাতা 

SSC Group D : গাজিয়াবাদ থেকে প্রাপ্ত ৪,৪৮৭ টি ওএমআর শিট ৩১ শে জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশের নির্দেশ এসএসসিকে, ঘুষ দিয়ে চাকরি প্রাপকরা, কাকে টাকা দিয়েছে? কাদের টাকা দিয়েছে? তদন্ত করে জানতেই হবে সিবিআইকে, নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।   রীতিমতো ধমক দিয়ে তিনি বলেন আদালতে এসে ইয়ার্কি হচ্ছে নাকি! তিনি এদিন বলেন,ইতিমধ্যেই ‘ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন, কাকে টাকা দিয়েছে ? কাদের টাকা দিয়েছে জানতেই হবে সিবিআইকে (CBI)’!

ইতিমধ্যে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ তৎকালীন শিক্ষা দপ্তরের রথীম মহারথীরা প্রত্যেকেই জেলের মধ্যে রয়েছেন। অবশ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিছুদিন আগে বলেছেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিরোধীদের অভিযোগ তিনি কার ষড়যন্ত্রের শিকার সেটা খুঁজে বের করা হোক। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সিবিআই এ বিষয়ে খুব বেশি কাজ করতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। তদন্ত চলছে এটাই বলে যাচ্ছে সিবিআই। কোন উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। এরই প্রেক্ষিতে আজ আদালত স্পষ্ট করে সিবিআর কাছে জানতে চেয়েছে কারা কারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে এবং তারা কাকে কাকে ঘুষ দিয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে আদালতকে জমা দিতে।

আর এদিন এসএসসি গ্রুপ ডি মামলায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর মতে, ‘পড়ুয়াদের কথা না ভেবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। আবার আদালতে এসে কথা বলছে, ইয়ার্কি হচ্ছে?’, অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এদিন সরাসরি এসএসসির কাছে জানতে চান,’সব অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের সরিয়ে দিলে শূন্যপদে কত দ্রুত নিয়োগ সম্ভব ? এদের সরাতে কেন নিজেরাই উদ্যোগী হচ্ছে না এসএসসি?’, এসএসসিকে প্রশ্ন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া গ্রুপ ডি-র ৪ হাজার ৪৮৭টি ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ