জেলা 

ধর্মতলায় আই এস এফ কর্মী বনাম পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালীন সময় বিনা উর্দিতে কারা লাঠিচার্জ করেছে? নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : গত শনিবার ধর্মতলায় আই এস এফ এর প্রতিষ্ঠা দিবসে পুলিশ এবং আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে বিনা উর্দিতে কারা লাঠিচার্জ করেছিল তা নিয়ে আজ মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারি আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে বলেছেন, পুলিশ এবং আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি আদালত গঠন  করুক।তাঁর আবেদন, ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান করা হোক। আইএসএফ কর্মীদের উপর বেপরোয়া ভাবে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া বিনা উর্দিতে কারা লাঠিচার্জ করল, তারও তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, একটি জমায়েত হঠাতে কতটা পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ, প্রয়োজনে তার নির্দেশিকা জারি করুক আদালত।

মামলাকারী সায়নের দাবি, বার বার পুলিশের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক মানসিকতার অভিযোগ উঠে এসেছে। কখনও আন্দোলনকারীদের কামড়, কখনও পুরুষ পুলিশ কর্মীরা শাড়ি খুলে নিয়েছেন আন্দোলনকারীর। এ বার লাঠি চালানোর ঘটনা ঘটল। এই সব বিষয়গুলিকে জনস্বার্থ মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতায় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। ওই দিন বিকেলে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের দাবি, শহরের ব্যস্ততম এলাকায় তাদের অবস্থান তুলে নিতে বলা হয়। কিন্তু আইএসএফ কর্মীরা অবস্থান চালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁদের তুলে দিতে গেলে হাতাহাতি বাধে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।

এরফলে সমগ্র মধ্য কলকাতা প্রায় কয়েক ঘন্টার জন্য অচল হয়ে যায়। পরে পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকী অভিযোগ করেছেন আই এস এফ এর সভায় ঐদিন অশান্তি করার নেপথ্যে নাকি তৃণমূলের ষড়যন্ত্র ছিল। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকী অভিযোগ করেছেন ভাঙ্গর থেকে আরাবুলের বাহিনী এসে নওশাদ সিদ্দিকীর সবাই অশান্তি তৈরি করেছে এবং পুলিশকে মারধর করেছে তৃণমূলের লোকেরাই। আর এই প্রেক্ষাপটে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনস্বার্থের এই মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় ধর্মতলার অশান্তির নেপথ্যে তৃণমূলের লোকেরাই ছিল,তাহলে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পূর্ণ জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এ কথা ঠিক কাশেম সিদ্দিকী যে অভিযোগটি করেছেন তারপরও কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ