দেশ 

জালিয়াতি বন্ধ নয় , নোট বাতিলের উদ্দেশ্য ছিল করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি করা দাবি জেটলির , তাহলে কী প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে ভুল আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের ?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে নোটবাতিলের পক্ষে জোরাল সওয়াল করতে গিয়ে নতুন যুক্তি খাড়া করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি বলেন, অর্থনীতিকে ফর্মালাইজ করতে যেসব সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তার মধ্যে নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত অন্যতম বলে জানিয়েছেন জেটলি।  বর্তমানে জেটলির দাবি, নোটবাতিল করে জালিয়াতি বন্ধ করা উদ্দেশ্য ছিল না। বৃহৎভাবে বর্ণনা করতে গেলে, অর্থনীতিকে আনুষ্ঠানিক( ফর্মালাইজ) করতে এবং কর প্রদানে বাধ্য করতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য , নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কালোবাজারি এবং নকল নোট থেকে দেশবাসীকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে । তিনি আরও বলেছিলেন, কিছুদিনের মধ্যে এই নোট বাতিলের সুফল দেশবাসী পাবে । আজ অবশ্য অরুন জেটলি অন্য ব্যাখ্যা দিলেন ।

এছাড়াও দেশকে নগদ থেকে ডিজিটাল লেনদেনে নিয়ে যেতে, একটা ঝাঁকুনির প্রয়োজন ছিল বলে ফেসবুক ব্লগে মন্তব্য করেছেন অরুণ জেটলি।

Advertisement

এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছিল দেশের বাতিল হওয়া ৯৯.৩ শতাংশ টাকা ফেরত এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের এই মন্তব্যের পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

জেটলি আরও বলেছেন, নোটবাতিল মানুষকে বাধ্য করেছে ক্যাশ ব্যাঙ্কে জমা করতে। বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়ায় ব্যাঙ্কগুলির ধার দেওয়ার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যাঁরা আইনভঙ্গ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৪-র মে-তে যখন সরকার ক্ষময়তায় আসে তখন দেশে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেন ৩.৮ কোটি মানুষ। পরবর্তী চার বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬.৮৬ কোটি।

জেটলির দাবি, নোট বাতিলের সঙ্গে জিএসটি নগদ লেনদেন কমিয়েছে। ডিজিটাল লেনদেন এখন চোখে দেখার মতো। জিএসটির আগে যেখানে করদাতার সংখ্যা ছিল ৬৪ লক্ষ, জিএসটি পরবর্তী সময়ে তা দাঁড়িয়েছে এককোটি কুড়ি লক্ষে।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

20 − 11 =