প্রচ্ছদ 

সাইফুদ্দিনের স্বপ্ন বাস্তব হল,পার্টি কংগ্রেসে বেঙ্গল লাইনের জয় সীতারামের  হাতকে শক্ত করবে

শেয়ার করুন
  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলামঃ

শেষ পর্যন্ত  সিপিএম দল ভাঙনের কিনারা থেকে উঠে এল। হাফ ছেড়ে বাঁচল দেশের মানুষ। বিগত তিনদিন  ধরে কী হয় কী হয় রব উঠছিল। বিষয়টি নিয়ে বাংলার ঘরে ঘরে  আলােচনা হয়েছে। আসলে ভারতের রাজনীতির প্রয়ােজনেই সিপিএমের টিকে থাকাটা জরুরি ছিল। দেশের সাধারণ মানুষের অধিকারকে সক্রিয়ভাবে বজায় রাখার জন্য এই কমিউনিষ্ট দলের
অস্তিত্বকে  টিকিয়ে রাখা খুবই প্রয়ােজন। আজ দেশের মানুষ শিক্ষার অধিকার থেকে একশো দিনের কাজের যে আইনি অধিকার পেয়েছে তার
নেপথ্যে এই বামপন্থী দলটির ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু সােভিয়েত রাশিয়ার যেমন একটি সিদ্ধান্তে সমগ্র দেশের কমিউনিস্ট শেষ হয়ে গিয়েছিল, একইভাবে সিপিএেমর এক প্রকাশ
কারাটের হাতেই এই দলটির নাভিশ্বাস উঠেছিল।ভারতীয় রাজনীতির বাস্তবতাকে অস্বীকার করে কার্যত দলটিকে মানুষের কাছে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছিলেন প্রকাশ কারাট। আসলে দেশের বড় বিপদ কােনটি সেটাই কারাটবাবুরা বুঝে উঠতে সঠিক সময়ে পারেননি।  রাজনীতির
সুবিধা লাভের আশায় অন্ধ কংগ্রেস বিরােধীতার ফলে দেশের বিপদটা উপলব্ধধি করতে পারেননি প্রকাশ কারাটরা। অথচ আজ থেকে  প্রায় তিন
দশক আগেই সাম্প্রদায়িক শক্তির আগ্রাসন বিষয়ে দলকে সতর্ক করেছিলেন,বিশিষ্ট বামনেতা সাইফুদ্দিন চৌধুরি। কিন্ত এই মহান কমিউনিষ্ট নেতার সতর্কবাণী সেদিন সিপিএমের আদর্শবাদী কমিউনিষ্ট নেতারা মানেননি।

Advertisement

এই সহজ বাস্তববােধের পরিচয় দেওয়ার জন্য সাইফুদ্দিনকে দল থেকে  বিতাড়িত করেছিলেন কমিউনিষ্টদের স্বঘোষিত ধারক বাহকরা।

মজার বিষয় হল তিন দশক পর সাইফুদ্দিন চৌধূরীর মত বিচক্ষণ রাজনীতিবিদের অকাল প্রয়াণের কয়েক বছর পর তাঁরই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য এখন পার্টি কংগ্রেসে গোপন ব্যালটে ভােটের কথা
বলতে  হচ্ছে। অথচ সেদিন সাইফুদ্দিন সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন রুখতে প্রয়ােজনে কংগ্রেসের হাত ধরা উচিত একথা বলার দায়ে তাঁকে ঘাড় ধাক্কা
দেওয়া হয়েছিল। আজ এই কারণকে সামনে রেখে পার্টিকে ভাগ করারও হুমকি
দেওয়া হয়। তাহলে কী প্রকাশ কারাটরা একবারের জন্য মরহুম জনেনতা
সাইফুদ্দিন চৌধুরীকে মনে মনে শ্রদ্ধা করেননি।

যাইহোক আজ এটা ধ্রুব সত্য বঙ্গ সন্তান সাইফুদ্দিন চৌধুরী আজ থেকে তিরিশ বছর আগে যা ভেবে ছিলেন,সেটাই আসল বাস্তব।
সাইফুদ্দিন  চৌধুুুরীর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য পশ্চিম বাংলার কমরেডরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় কমিটিতে লড়াই করে এসেছেন। জ্যোতিবাবু  থেকে বুদ্ধ-বিমান-অনিল-মহম্মদ সেলিমরা বরাবরই  সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সমর্থনের কথা বলে এসেছেন। এতিদন পরে সীতারাম ইয়েচুরির দ্বিতীয় বার সিপিএম দলের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে এই দলটি নতুন দিশা নিয়ে দেশের রাজনীতিতে পুনর্জন্ম হল।


শেয়ার করুন
  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

10 + 10 =