কংগ্রেসের মড়া গাঙে বান আসতে চলেছে ? ১৯ বছর পর ঘরে ফিরলেন বিহারের জনপ্রিয় সংখ্যালঘু নেতা
বাংলার জনরব ডেস্ক : কংগ্রেসের মড়া গাঙে বান যে আসতে তা দলের পুরোনা কর্মীদের ফিরে আসার মধ্যেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে । শনিবার কংগ্রেসের ঘরে আরও একজন দীর্ঘদিনের নেতা ফিরে এলেন । এক সময় রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ট এই নেতাটি খানিকটা অভিমানেই কংগ্রেস ত্যাগ করে শারদ পাওয়ার, পি. এ সাংমা ও তিনি নিজে নতুন দল গড়েছিলেন , সেই নেতাই আবার ফিরে এলেন ঘরে ।
দু-দশক পর ঘরে ফিরলেন তারিক আনোয়ার। ১৯ বছর আগে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। শারদ পাওয়ার ও পিএ সাংমার সঙ্গে গড়েছিলেন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি। সেই পার্টি ছেড়ে আবার কংগ্রেসে ফিরে এলেন আনোয়ার। শনিবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন তিনি, তারপর যোগ দেন কংগ্রেসে।
রাহুলের বাড়িতে সদলবলে আনোয়ার শনিবার তুঘলক লেনের বাড়িতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন তারিক আনোয়ার। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অশোক গেহলট, বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা শক্তি সিং গোহেল। তাঁর কংগ্রেস যোগদানের সিদ্ধান্তে রাহুল গান্ধী অভিনন্দন জানান আনোয়ারকে।
একথা স্বীকার করতে হবে আনোয়ারের যোগদানে লোকসভা ভোটের আগে শক্তি বাড়ল কংগ্রেসের। তাঁর যোগদানে বিহারে শক্তিশালী হবে কংগ্রেস। পুরনো নেতাদের কংগ্রেসে ফিরে আসা ২০১৯-এর আগে শুভ লক্ষণ বলেই মনে করছে নেতৃত্ব। কংগ্রেস মনে করছে, এসবই ইঙ্গিত করছে এবার কংগ্রেস দিল্লির ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে জোটসঙ্গীদের নিয়ে।মোদীর বিরোধিতায় কংগ্রেসে ২৮ সেপ্টেম্বর এনসিপি ছেড়ে আনোয়ার বলেছিলেন, শারদ পাওয়াপর রাফাল কেলেঙ্কারিতে মোদী সরকারকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন যেভাবে, তা তিনি মানতে পারেননি। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটা ছিল তাঁর নীরব প্রতিবাদ। তখনই আভাস দিয়েছিলেন কংগ্রেস ফিরতে পারেন। সেই সম্ভাবনাই সত্যি হল এদিন।
জানা গেছে রাজনৈতিক নৈতিকতা স্বার্থে তিনি লোকসভার সদস্যপদও ছাড়বেন । কারণ তিনি এনসিপি-র প্রতীকে ২০১৪ সালে বিহারের কাটিহার কেন্দ্র থেকে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ১৯৮০ সালে তিনি মাত্র ২৯ বছর বয়সে কাটিহার কেন্দ্র থেকেই তিনি কংগ্রেসের টিকিটে প্রথম জয়ী হয়েছিলেন। এবার তিনি ফের কংগ্রেসের টিকিটে এই কেন্দ্র থেকে লড়তে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ১৯ বছর পর তারিক আনোয়ারের মতো একজন জনপ্রিয় নেতাকে আবার কংগ্রেস ফিরে পাওয়ায় দলের পক্ষে যে মঙ্গলজনক হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জোটের ক্ষমতায় সম্ভবনা যত প্রবল হচ্ছে ততই কংগ্রেসের ঘর ভর্তি হচ্ছে ।