দেশ 

কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার মাসুল গুলাম নবী আজাদকে দিতে হবেই, একদিন রাহুল গান্ধীকেই নেতা মেনে কংগ্রেসে ফিরতে হবেই !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম  : গুলাম নবী আজাদ কংগ্রেসের গোলামি ছেড়ে আজাদ হয়ে গেলেন আজ ২৬ আগষ্ট ২০২২ । এটা জানা ছিল, গুলাম নবী আজাদ কংগ্রেস ছাড়বেন । রাজ্যসভার মেয়াদ শেষের দিনে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুলাম নবী আজাদের জন্য চোখের জল ফেলেছিলেন সেদিনই ঠিক হয়ে গিয়েছিল উনি কংগ্রেস ছাড়বেন । তবে কবে ছাড়বেন সেটা জানা ছিল না । কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার মাসুল আজাদকে দিতে হবেই । এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে কংগ্রেস দল এখন সাংগঠনিক সংকটের মধ্যে পড়েছে । আর একজন প্রকৃত কংগ্রেস নেতা হিসাবে আজাদের দায়িত্ব ছিল কংগ্রেসের সংগঠনকে মজবুত করা । রাহুল গান্ধী তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে এটা বিশ্বাসযোগ্য রাজ্যসভায় পুনরায় নির্বাচিত না হওয়ার কারণেই তিনি দল ত্যাগ করেছেন । মৌলানা আবুল কালাম আজাদ স্বাধীনতার জন্য কংগ্রেস সভাপতির মেয়াদ থাকা সত্ত্বে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন দেশের স্বার্থে। আর একুশ শতকের আজাদ নিজের স্বার্থে কংগ্রেস ত্যাগ করলেন । এটা স্পষ্ট বলে দেওয়া যায়, এখন যাঁরা কংগ্রেস ত্যাগ করছেন তাঁরাই আবার কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে রাহুলকেই নেতা বলে মেনে নিয়ে সুড়সুড় কংগ্রেসে ঢুকে যাবেন ।

পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে গুলাম নবি লিখেছেন, ‘গোটা সাংগঠনিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াই একটা প্রহসন। দেশের কোথাও সংগঠনের কোনও পর্যায়ের নির্বাচনই হয়নি।’ এর পরই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীকে নিশানা করে বর্ষীয়ান নেতা লিখেছেন, ‘এই সব ঘটেছে, তার কারণ, গত আট বছরে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনি এক জন ‘অপরিণত’ ব্যক্তিত্ব।’ এমনকি, বিভিন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্যও রাহুলকেই কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন গুলাম।

Advertisement

রাহুলকে নিশানা করে গুলাম লিখেছেন, ‘অপরিণত হওয়ার সবচেয়ে জ্বলন্ত উদাহরণগুলির মধ্যে একটি হল, সংবাদমাধ্যমের সামনে রাহুল গাঁধীর হাতে সরকারি অধ্যাদেশ ছেঁড়া…। এই ধরনের শিশুসুলভ আচরণ প্রধানমন্ত্রী ও ভারত সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। ২০১৪ সালে নির্বাচনে ইউপিএ সরকারের পরাজয়ের নেপথ্যে যে অবদানগুলি রয়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম।’কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের কথা যেমন পদত্যাগপত্রে তুলে ধরেছেন গুলাম নবি, তেমনই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে ‘নিবিড় সম্পর্কের’ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন।

গুলাম নবীর কাছে আমাদের প্রশ্ন আপনি তো আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন না , কিংবা কংগ্রেস সভাপতি হতে চান না ! কিন্ত জম্মু-কাশ্মীরের দায়িত্ব পাওয়ার পর কেন পদত্যাগ করলেন । কংগ্রেসের জোয়ারের সময় সব সরটা খেয়ে নিলেন , মুৃখ্যমন্ত্রী, রাজ্যসভার দলনেতা হলেন, তারপর সংকটের পালিয়ে যাচ্ছেন ! এই শিক্ষা তো ইসলামে নেই ! তাহলে কেন করছেন বলুন? স্বার্থের জন্য। একথা গুলাম নবীদের জানা উচিত রাজনৈতিক সংকটের সময় দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াটা এক প্রকার বোকামো । একদিন গুলাম নবী বুঝতে পারবেন তিনি ভুল করেছেন, আর রাহুলের কাছে আজাদকে ফিরে আসতে হবে ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ