দেশ 

বাবা মায়ের নিষেধ অমান্য করে এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মেয়ে, সামাজিক সম্মান রক্ষার্থে মেয়ের মুন্ডচ্ছেদ করে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরেও মেয়ের জন্য কোন অনুশোচনা নেই বাবার, উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেশজুড়ে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : বাবা মায়ের অমতে প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন মেয়ে শাহিনা কুরেশি। শেষ পর্যন্ত সামাজিক সম্মানের জন্য মেয়েকে নিজের হাতে খুন করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরাঠে। এই ঘটনার পর শাহিনার বাবা-মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মেয়েকে খুন করার পরেও কোন অনুশোচনা ধরা পড়েনি বছর পঞ্চাশে শাহিদ কুরেশির চোখে মুখে। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করেছেন, আমি এই ঘটনায় অনুতপ্ত নই। তাঁর ভাষায়,“আমি অনুতপ্ত নই। ওকে ঠিক পথে আনার চেষ্টা করেছিলাম। শোনেনি।”

তিনি আরও বলেন, “ওর মাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যেত। আমার হাতে আর কোনও রাস্তা ছিল না। আমাদের মানসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। তাই ওকে খতম করে দিয়েছি।”

Advertisement

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে বাবা-মায়ের নিষেধ অমান্য করে  এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন বছর পঁচিশের শাহিনা। গত ১২ অগস্ট প্যাকেটে মোড়ানো তাঁর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয় স্থানীয় একটি করব স্থানের বাইরে। কিন্তু মুণ্ড কোথায়, তার জন্য তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার একটি ড্রেন থেকে শাহিনার মুণ্ড উদ্ধার করে পুলিশ।

মেরঠের পুলিশ সুপার বিনীত ভটনগর বলেন, “রাতভর তল্লাশি চালিয়ে তরুণীর মুণ্ড ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়। ওড়নায় জড়ানো ছিল মুণ্ড। যে অস্ত্র দিয়ে তরুণীকে খুন করা হয়েছে তা-ও উদ্ধার হয়েছে। শাহিদ এবং তাঁর স্ত্রী শেহনাজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ২০১ (প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা) এবং ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শাহিদকে।”

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ওয়াসিম নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল শাহিনার। কিন্তু এতে তাঁর বাবা শাহিদের প্রবল আপত্তি ছিল। এক বছর ধরে এই সম্পর্ক গোপন ছিল। মাস ছয়েক আগে শাহিনার বাবা এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। তার পরই বাড়ি ভাড়া নিয়ে অন্যত্র চলে যান। কিন্তু তার পরেও শাহিনা যোগাযোগ রাখতেন ওয়াসিমের সঙ্গে। এক বার তাঁরা পালিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু দিন পরে ফিরে আসেন বাড়িতে। সার্কল অফিসার অরবিন্দ চৌরাসিয়া বলেন, “সেই সময় শাহিনার বাবা তাঁদের বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজিও হয়েছিলেন।”


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ