Suvendu Adhikari: চাকরি দেওয়ার নামে রাজ্য জুড়ে টাকা তুলেছেন শাসক দলের মন্ত্রী থেকে সাংসদ বিধায়করা দাবি শুভেন্দুর,১০০ জন তৃণমূল নেতার নাম অমিত শাহকে জমা দিয়েছেন জানালেন বিরোধী দলনেতা
বাংলার জনরব ডেস্ক : শুধু পার্থ অর্পিতা নন,তৃণমূলের নেতা বিধায়ক ও সাংসদ মিলিয়ে ১০০ জন চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।তাঁর দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নন, চাকরি দুর্নীতি-কাণ্ডে তৃণমূলের আরও অনেকে যুক্ত। তিনি এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের কাছে ১০০ জন তৃণমূল নেতা-নেত্রীর নামের তালিকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু। সেই তালিকায় তৃণমূল সাংসদ, বিধায়কের পাশাপাশি কয়েক জন মন্ত্রীর নামও রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংসদ ভবনে শাহের ঘরেই শুভেন্দু ৪৫ মিনিট একান্ত বৈঠক করেন। এই বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বা অন্য কোনও নেতাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠক শেষে শুভেন্দু টুইট করে জানান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তিনি শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে দ্রুত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকরের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
It's an honour for me to meet Hon'ble Union Home Minister Shri @AmitShah Ji for 45 minutes at his office in Parliament.
I briefed him how WB Govt is completely mired in corrupt activities such as the Teachers recruitment scam.
Also requested him to implement CAA at the earliest. pic.twitter.com/DLLdOpfSa3— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) August 2, 2022
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘১০০-র বেশি বিধায়ক এবং তৃণমূলের তোলাবাজের নাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছি যাঁরা গোটা বাংলায় টাকা তোলার র্যাকেট চালায়। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে গ্রিন করিডর বানিয়ে ভাইপোর বাড়ি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পাঠিয়েছেন। উনি আমায় কথা দিয়েছেন, এই দুর্নীতির পূর্ণ তদন্ত হবে।’’
একই সঙ্গে শুভেন্দু জানান, এটা যে স্বাধীনতার পরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি তা শাহও মেনেছেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘হরিয়ানায় তিন হাজার, ত্রিপুরায় ১১ হাজার চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ৭৫ হাজার চাকরির মধ্যে ৫০-৫৫ হাজার বিক্রি করা হয়েছে। একা পার্থ, অপা, মপারা যুক্ত নন। প্রচুর কালেক্টর আছে। ব্লক অনুযায়ী কালেক্টর আছে, জেলা অনুযায়ী কালেক্টর আছে। ১০০ জনের নাম দিয়েছি। তার মধ্যে বিধায়ক, সাংসদ রয়েছেন। মন্ত্রীও রয়েছেন। চার বিধায়কের লেটারপ্যাড-সব বিভিন্ন তথ্য প্রমাণও জমা দিয়েছি। যাঁরা টাকা তুলেছেন। আমি চেয়েছি, আরও কড়া তদন্ত হোক। তদন্তকে একেবারে মূলে নিয়ে যেতে হবে।’’