দেশ 

খাদ্য পণ্যে জিএসটি, সংসদের ভিতরে বাইরে আন্দোলনে কংগ্রেস

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: জিএসটি কাউন্সিলের প্রস্তাব মত, সেই মতো গতকাল থেকে প্যাকেটবন্দি লেবেল সাঁটা চাল, ডাল, আটা, মুড়ি, দই, লস্যির মতো খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে।

একদিকে যখন ডলার প্রতি টাকার দাম ৮০ ছুঁয়েছে, অন্যদিকে তখন ৫ শতাংশ জিএসটি বসেছে প্যাকেটবন্দি লেবেল সাঁটা খাদ্যেপণ্যে। এর মধ্যে রয়েছে রোজকার হেঁসেলের চাল, ডাল, আটা, মুড়ি, দই, লস্যি, পনির, গুড়, মধু, বাটার মিল্ক।

Advertisement

অন্যদিকে হাসপাতালের খরচও বেড়েছে। ICU ছাড়া ৫ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের কেবিনেও এবার থেকে দিতে হবে ৫ শতাংশ জিএসটি। এতদিন জিএসটির বাইরে থাকা দিনে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়ার হোটেলের ঘরেও চাপানো হয়েছে ১২ শতাংশ কর। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের এমন বহু পণ্যের উপর জিএসটি কাউন্সিলের প্রস্তাবে কর বাড়ানো হয়েছে।

এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংসদের দুই কক্ষে সরকারি বিরোধী স্লোগান দেয় বিরোধীরা। মুলতুবি প্রস্তাব আনেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ। গৌরব উল্লেখ করেন, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে সরাসরি সাধারণ মানুষের রোজকার জীবন ধারণের উপর আঘাত এনেছে কেন্দ্র। অধিকাংশ জরুরি জিনিসের দাম বাড়ানো হয়েছে। কোভিডের কারণে একেই বিপর্যস্ত ছিল গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্তের আর্থিক পরিস্থিতি। এবার সেই অবস্থা আরও খারাপ হবে। এদিকে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো ইস্যুতে তীব্র অশান্তি শুরু হলে দুপুর ২টো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় অংশ নেন কংগ্রেস সাংসদরা।

উল্লেখ্য, জিএসটি কাউন্সিলের প্রস্তাবে গতকাল ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ কর বসেছে ছুরি, ব্লেড, শার্পনার, চামচে। ডিম, ফল ও অন্যান্য কৃষিজ পণ্য বাছাই করার যন্ত্র, শ্রেণি বিন্যাসের যন্ত্র, ছাপা, লেখা-আঁকার কালি, এলইডি আলো, আঁকার যন্ত্রপাতি, বিদ্যুৎচালিত জলের পাম্প, টেটরা প্যাকেরও। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস মহার্ঘ হওয়ায় এদিন সংসদ চত্বরে প্রতিবাদ দেখায় আম আদমি পার্টি ও টিআরএসের সাংসদরাও।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ