কলকাতা 

Mamata Banerjee : নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাফিজুল মোল্লা ঢুকলো কি করে? মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে দায় এড়াতে পারে কলকাতা পুলিশ ?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন যে সঠিক মত চলছে না তা বাংলার জনরব বারবার বলেছে। পুলিশ তার নিজের কাজ না করে অকাজ করতেই ব্যস্ত থেকেছে বেশি। এমনকি রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তর সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের সব কাজে ব্যর্থ হচ্ছে। কোথায় মানুষ ১১ ঘণ্টা ধরে অবরোধ করছে সেই খবর গোয়েন্দা দপ্তরে থাকে না। অথচ কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে গোয়েন্দাদের পিছনে।

গত শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যা ঘটেছে তার কোন সদুত্তর রাজ্য পুলিশ বা কলকাতা পুলিশের কাছে নেই বলে আমাদের মনে হয়েছে। কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতরে নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেদ করে হাফিজুল মোল্লা নামে একজন ব্যক্তি ঢুকে গেলেন তার দায় এবং দায়িত্ব কার এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে না কেন?

Advertisement

জানা গেছে হাফিজুল মোল্লা কে নিয়ে তদন্ত করার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হয়েছে। আর এই হাফিজুল মোল্লাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয় যেখানে সেখানে কলকাতা পুলিশ এতটা অকর্মণ্যতার পরিচয় কেন দিয়েছে? সেটা বড্ড জানতে ইচ্ছা করে।

এদিকে এই ঘটনার পর রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠকে বসেন সোমবার । সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ কর্মীদের কাছে কোনভাবেই মোবাইল থাকবে না। নবান্নে এবং কালীঘাটে দুই জায়গাতে যে সকল নিরাপত্তা কর্মী কর্তব্য করবেন তাদের কাছে মোবাইল রাখা যাবে না। সরকারের এই নির্দেশিকা থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে পুলিশকর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তার চেয়ে মোবাইলে ফেসবুক টুইটার দেখতে বেশি ব্যস্ত ছিল।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন আপনি অনেক বেশি সতর্ক হোন। পুলিশ এবং প্রশাসনের এই গাফলতির বিরুদ্ধে আপনাকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। আর পুলিশ প্রশাসনকে মনে রাখতে হবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন জনপ্রতিনিধি এবং জনপ্রিয় নেত্রী। তার নিরাপত্তার দায় এবং দায়িত্ব তাদের।  যাদের জন্য গাফিলতি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এখন বলা হচ্ছে হাফিজুল মোল্লা নাকি লোহার রড নিয়ে ঢুকেছিল। আর ওই হাফিজুল যদি সত্যিই কোনো অঘটন ঘটিয়ে দিত তার দায় কে নিতো? অতএব কলকাতা পুলিশের উচিত শুধুমাত্র গাফলতীর দায়ে নিরাপত্তা কর্মীদের সরিয়ে দিলেই হবে না তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমাদের মনে হয়েছে।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা এই ঘটনার পর আরো বাড়ানো হয়েছে। নবান্ন এর নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারপাশে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির প্রবেশপথের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হচ্ছে। পুলিশ কুকুরের নজরদারি বাড়ানো হবে। দু’টি ওয়াচ টাওয়ার নতুন করে বসানো হবে। একটি আলিপুর জেল এবং অন্যটি বলরাম ঘাটের দিকে। টালি নালার দিকের অরক্ষিত দিকে ১৪ ফুট উঁচু অ্যালমিনিয়ামের পাঁচিল দেওয়া হবে। নবান্ন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি, দুটি ক্ষেত্রেই সিসিটিভির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির চারিদিকে ১০০ ফুট ব্যাসার্ধ জুড়ে নজরদারি চলে। এবার থেকে নজরদারি এলাকা দ্বিগুণ করা হয়েছে।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ