অন্যান্য 

মুসলিম ও দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক লড়াই জারি রাখার লক্ষেই পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ,প্রশাসনের গাফিলতিতেই দাড়িভিটে অশান্তি হয়েছে : ইমতিয়াজ আহমেদ

শেয়ার করুন
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

ইমতিয়াজ আহমেদ মোল্লা- পশ্চিমবাংলার রাজনৈতিক আঙিনায় পরিচিত মুখ । তাঁর বক্তব্য দেওয়ার ক্ষমতা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় যেকোনো বড় রাজনৈতিক দলের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য হতে পারতেন। কিন্ত তিনি বিশ্বাস করেন কোনো মনুবাদী রাজনৈতিক দল এদেশের সংখ্যালঘু – দলিত স্বার্থে কোনো কাজ করবে না। তাই তিনি নিজেই গড়ে তুলেছেন ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল পার্টি । তাঁর পার্টির উদ্দেশ্য- লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বাংলার জনরব নিউজ পোর্টালের মুখোমুখি । আজ তৃতীয় কিস্তি ।

প্রশ্ন : এটা তো আপনাকে স্বীকার করতে হবে যে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত স্তরে মুসলিমদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন দিয়েছে ? অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদেও মুসলিমদের বসানো হয়েছে । এটা তো বামেদের আমলে কল্পনা করা যেত না । এ নিয়ে কী বলবেন ?

Advertisement

ইমতিয়াজ আহমেদ : দিয়েছে । কাদের দিয়েছে । মনে রাখতে হবে যারা পঞ্চায়েত স্তরে লড়াই করতে পারবে, ভোট কেন্দ্র দখল করতে পারবে এমন কিছু মুসলিম নামধারী ব্যক্তিকে পঞ্চায়েতস্তরে ক্ষমতা দিয়েছে । উল্টো দিকে দেখুন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে প্রায় প্রতিদিনই পঞ্চায়েত স্তরে কেউ না কেউ খুন হচ্ছে । তাদের সিংহভাগই মুসলিম ও দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ । আর এই লড়াই জারি রাখার লক্ষেই পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ।

প্রশ্ন : দাড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই আরএসএস –বিজেপিকে দায়ী করছে ? এই ঘটনার নেপথ্যে আপনি কাকে দায়ী করবেন ?

ইমতিয়াজ আহমেদ : হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে এই চিত্র সাধারণত দেখা যায় না। ইস্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগ হোক কিংবা বাংলা শিক্ষক সেই বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু যায় আসে না । তবে তাঁদের দাবি থাকতে পারে । সেই দাবি তারা প্রধান শিক্ষক কিংবা ডিআইকে জানাতে পারে । তা বলে উর্দু শিক্ষককে নিয়োগ করা যাবে না, এই দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে তার নেপথ্যে বিশেষ কোনো শক্তি যে কাজ করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । সেই শক্তি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই মন্তব্য করেছেন। কিন্ত আমার বক্তব্য হল, প্রশাসন কিংবা গেয়েন্দা বিভাগ কি তাহলে ঘুমিয়ে ছিল ? তারা কেন আগাম খবর সরকারকে দিতে পারল না । কিছু শক্তি তো চেষ্টা করবে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করতে । আমাদের প্রশাসনের  দায়িত্ব হল সেই অশান্তি সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি বিধান করা । আমি এটা বলতে পারি প্রশাসনের গাফিলতিতেই দাড়িভিটে অশান্তি হয়েছে  ।

প্রশ্ন : দাড়িভিট কান্ডে কি স্কুলের পরিচালন সমিতি তার দায়িত্ব এড়াতে পারে ?

ইমতিয়াজ আহমেদ : না , অবশ্যই পারে না । কারণ স্কুলে কোন শিক্ষক যোগ দিতে চলেছেন তা একমাত্র প্রধান শিক্ষক ও পরিচালন সমিতির কর্তা জানতে পারেন । তাদের মধ্যে কেউ এই বিষয়ে বাইরে প্রচার না করলে এই ঘটনা ঘটতে পারে না । আবারও বলছি, দাড়িভিট কান্ডে জেলা প্রশাসন দায়িত্ব কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

 


শেয়ার করুন
  • 1
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

eleven + 14 =