কলকাতা 

ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গিয়ে রুপো লুটের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক সিভিক ভলেন্টিয়ার

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গিয়ে তার কাছে থাকা রূপো লুঠ করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাওড়া সিটি পুলিশের দুই কনস্টেবল এবং দক্ষিণ হাওড়া থানার এক পদস্থ কর্তা। এবার এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হলো কসবা থানার এক বহিস্কৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে।

গতকাল শুক্রবার হাওড়ার জগাছা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সৈকত চট্টোপাধ্যায় (৩৩) নামে ওই বহিষ্কৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার আরও বিস্তারিত তদন্ত করতে চাইছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বেই বড়বাজার থানা এই ঘটনায় দক্ষিণ হাওড়ার ওই থানার আধিকারিককে ডেকে জি়জ্ঞাসাবাদ করেছে। এবার সিভিক ভলান্টিয়ারকে জেরা করে ঘটনা আরও বিস্তারিত জানতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসাররা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবককে গতবছর কলকাতায় অপর এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপরই ওই যুবককে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল এই ঘটনাতেও তারাই যুক্ত আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই দলে যারা ছিল তাদের ধীরে ধীরে জিজ্ঞাসাবাদ করে রুপো লুটের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে চাইছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা সমীর মান্না (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী ব্যাগ ভরতি কিছু রুপোর গয়না নিয়ে হাওড়া স্টেশনে বাস থেকে নামেন। তাঁর অভিযোগ, স্টেশন চত্বরেই একটি সাদা গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা চার অপরিচিত যুবক নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর নিউটাউনে বিশ্ববাংলা গেটের কাছে নিয়ে গিয়ে ব্যবসায়ীর ব্যাগে থাকা কয়েক কেজি রুপোর গয়না ছিনিয়ে নেয় তারা। ওই ব্যবসায়ী বড়বাজার এলাকায় ব্যবসা করেন বলে বড়বাজার থানাতে গিয়েই অপরিচিত যুবকদের বিরুদ্ধে রুপো লুটের অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার তদন্তে নেমে বড়বাজার থানার পুলিশ এই লুটের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে অভিযুক্ত সুরজিৎ নস্কর ও সমীরণ পাত্র নামে দুই কনস্টেবল তদন্তকারীদের জানায়, থানার দক্ষিণ হাওড়ার একটি থানার এক আধিকারিক এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এর পরই ধীরে ধীরে এই ঘটনায় আরও অনেককে ধরতে তৎপর হয় পুলিশ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ