কলকাতা 

মুসলিমদের সার্বিক উন্নয়নে সিদ্ধার্থশংকর রায় যা করে গেছেন তার সিকিভাগও এই সরকার করেনি : সোমেন মিত্র

শেয়ার করুন
  • 665
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সোমেন মিত্র  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন এআইসিসি পক্ষ থেকে ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর প্রতি আস্থা রেখেছেন রাহুলসোনিয়া গান্ধী রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন প্রদেশ কংগ্রেসের বর্তমান যা অবস্থা তাতে হয়তো সাংগঠনিক অবস্থার দ্রূত উত্থান সম্ভব হবে না। তবে কংগ্রেস সোমেন মিত্রের মত একজন সাংগঠনিক নেতার হাত ধরে যে রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে পারবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যাইহোক সোমেনবাবু প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে সফল হবেন এই প্রত্যাশা রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনে রয়েছে বাংলার জনরব তাঁর সাফল্য কামনা করছে তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হবেন এই প্রত্যাশা নিয়ে বাংলার জনরব তাঁর সাক্ষাৎকার নেয়নি তিনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলার রাজনীতির নাড়িনক্ষত্র সম্পর্কে অবহিত আছেন সেই প্রেক্ষাপটেই আমরা তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম তবে আমরা জানতাম অধীর চৌধুরিকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরানো হলে সেই পদে সোমেন মিত্র ছাড়া অন্য কাউকে দায়িত্ব এআইসিসি দেবে না।

যাইহোক বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই সোমেনবাবু বাংলার জনরবকে একান্তে বিশাল সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সেই সাক্ষাৎকারের ছয়টি কিস্তি ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে আজ শেষ কিস্তি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বুলবুল চৌধুরি

Advertisement

প্রশ্ন : রাজ্যের ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিরাট সমর্থন এই রাজ্যে কংগ্রেসের প্রতি ছিল । এখন যেন মনে হচ্ছে সেই সমর্থন কংগ্রেস হারাচ্ছে কেন ?

সোমেন মিত্র : পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতিতে অনেকেই এখন সরকারী দলের দিকে ঝুঁকছে । মুসলিমরা তার ব্যতিক্রম নয় । আসলে এরা বুঝতে পারছে না ভিক্ষায় কোনদিন অভাব যায় না । সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যায় ঠিকই কিন্ত তা দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান নয় । আগেই বলেছি সিদ্ধার্থশংকর রায় ১১ শতাংশ মুসলিমকে সরকারি চাকরি দিয়েছিল । তিনি কোনো দিন একথা প্রকাশ্যে বলতেন না । তিনি ঈদের জামাতের জন্য রেড বরাদ্দ করে দিয়েছিলেন তিনি কোনোদিন সেকথা নিজে থেকে বলেননি । তিনি ঈদের জামাতে যেতেন মানুষের কথা বলার জন্য , শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য, ধনী-গরীব যে কেউ ঈদের জামাতের পর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশংকর রায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন । আর আজকের দিনে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে রেড রোডে যান । কিন্ত সেখানে শুভেচ্ছার চেয়ে বড় হয়ে ওঠে তাঁর প্রচার । তাহলে কাজ করে একজন প্রচার করলেন , আর কাজ না করে একজন প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে । প্রচারের ফানুসে মনে হচ্ছে তিনি এরাজ্যে মুসলিমদের জন্য সব কিছু করে দিয়েছেন। মুসলমান একটাংশ এটা বিশ্বাস করছে । ফলে তার প্রতি সমর্থন বাড়ছে ।

প্রশ্ন : এটা  কেন হচ্ছে , আপনার তো এই কথাগুলি তুলে ধরতে পারতেন ?

সোমেন মিত্র : মুসলিমদের মধ্যে যাঁরা সচেতন মানুষ আছেন তারা বিশ্বাস করেন সিদ্ধার্থশংকর রায় যা করে গেছেন তার সিকিভাগও এই সরকার করেনি । তবে একটাংশ কিছু পাওয়ার আশায় এগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন বা সত্য গোপন করছেন । আর রাজনীতিবিদরা বলছেন ঠিকই কিন্ত সেই বার্তা ওই সমাজের কাছে সঠিকভাবে পৌছাছে না । আর বুদ্ধিজীবীদের একটাংশ বঙ্গভূষণ থেকে শুরু নানা পুরস্কার পাওয়ার জন্য নীরবতাকেই হাতিয়ার করছে ।


শেয়ার করুন
  • 665
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

4 × four =