জেলা 

Rampurhat Violence : ‘‘অপরাধীরা যখন এই বাড়িগুলিতে খুন করছিল, তখন পুলিশ বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল’’ বুধবার সকালে বগটুইয়ে পৌঁছে দাবি সেলিমের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : আজ বুধবার সকালেই রামপুরহাটের বগটুই পৌঁছলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি বলেন, ‘‘এখানে তদন্ত হবে। সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) আসবে। কেউ যেন প্রমাণ নষ্ট না করতে পারে। প্রমাণ নষ্ট করতে পারবে শুধু সিট। সেই কারণেই সিট গঠন করা হয়েছে।’’

পুরো ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তোলেন তিনি। পুলিশের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, ‘‘অপরাধীরা যখন এই বাড়িগুলিতে খুন করছিল, তখন পুলিশ বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিল।’’

Advertisement

বগটুই গ্রামে নববধূ মর্জিনা বিবিকে আনতে গিয়েছিলেন কাজি সাজিদুল রহমান। স্ত্রীকে আনতে গিয়ে নিখোঁজ সাজিদুল। তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, সাজিদুলের বাবা কাজি নুরুল রামপুরহাট এবং নানুর পুলিশ স্টেশনে গেলেও তাঁর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। সরকারের তরফ থেকে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা জানানো হচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেলিম।

এ ছাড়াও সঠিক তদন্তের আগেই মৃত্যুর পিছনে অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে শট সার্কিটের তত্ত্ব খাড়া করা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সঙ্গে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাওয়াই চপ্পলে রক্তের দাগ আছে।’’ সেলিম আরও বলেন, ‘‘কালীঘাটে মমতার ভাইপোর মতোই এখানে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। আশিসেরর ভাইপো এসডিপিও-কে কিনে রেখে এখানে অত্যাচার চালাচ্ছে।’’

সিআইডি বা সিবিআই— যেই তদন্ত করুক, কোনও লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেন সেলিম। বলেন, ‘‘মমতার সিআইডি আর অমিত শাহের সিবিআই মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। কাক কাকের মাংস খায় না। মমতা আর অমিত ঠিক করে দেন কী হবে।’’

তবে গ্রামে ঢোকার সময় তিনি কোনও বাধার মুখে পড়েননি বলেও উল্লেখ করেন সেলিম। এদিন অবশ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে রামপুরহাট গণহত্যার  নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে দোষীদের শাস্তির দাবিতে মিছিল করে বামফ্রন্ট।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতেই বীরভূমের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে সমাধিস্থ করা হয় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হওয়া ৮ জন গ্রামবাসীকে। এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দলও কাজ শুরু করে দিয়েছে। আবার গ্রামে যেতে পারেন তাঁরা। পাশাপাশি আতঙ্কের জেরে ইতিমধ্যেই গ্রাম ছাড়ছেন অনেক গ্রামবাসী। গ্রাম ছেড়েছেন ভাদু শেখের পরিবারের সদস্যরাও।

 

 

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ