জেলা 

মালদা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

শেয়ার করুন
  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি : মালদা মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালে রোগী সংখ্যা বেশি থাকা সত্ত্বে, ডাক্তার থাকলেও তাঁদের অনুপস্থিতিতে রোগীদের সমস্যায় পড়া নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমন অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।মন্ত্রী কোনও রকমে আজ হাসপাতাল চত্বর বেরিয়ে আসেন। তবে তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেও রোগী পরিজনের হাতে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও ছিলেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য।

পরে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, এটা তাঁর রুটিন ভিজিট ছিল। তিনি যেখানেই যান, সেখানকার স্বাস্থ্য পরিষেবা খতিয়ে দেখেন। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মালদা মেডিকেলে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এনিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে তা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মালদা মেডিকেলে প্রয়োজনের তুলনায় কম চিকিৎসক কেন? তা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, “২০১১ সালের আগে একদিকে ডাক্তার নিয়োগ যেমন বন্ধ ছিল, অন্যদিকে প্রচুর চিকিৎসক অবসর নিয়েছিলেন। ফলে এক্ষেত্রে একটা বড় শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সাল থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি রাজ্যে অনেক নতুন মেডিকেল কলেজ করেছেন। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে আরও পাঁচটি মেডিকেল কলেজে পঠনপাঠন শুরু হবে। মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে যেভাবে কাজ হচ্ছে, তা যদি ২০১১ সালের আগে হত তবে এই সমস্যা দেখা দিত না।” এছাড়াও মালদা মেডিকেলে রোগীদের রেফার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেখানে প্রয়োজন সেখানেই রেফার করতে হবে। এই রাজ্যে মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়ে থাকেন। যা গোটা দেশের কোথাও হয় না।’

মালদা মেডিকেল কলেজের মাতৃমা বিভাগ থেকে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত পালিয়ে যান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। বিক্ষুব্ধ মানুষ তাঁকে একাধিক অভিযোগ জানালেও কারোও সঙ্গেই কথা বলেননি তিনি। তাঁকে নাগালে না পেয়ে উপস্থিত মানুষজন জেলাশাসককে ঘেরাও করে। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর জেলাশাসক বলেন, “এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীদের অসম্ভব চাপ থাকে। ফলে একটি বেডে দুই বা তার বেশি রোগী থাকতে বাধ্য হন। এখানে বেশিরভাগ বাচ্চাই সুস্থ রয়েছে। দু’চারটি বাচ্চা অসুস্থ থাকায় তাদের বাবা-মায়েরা চিন্তায় রয়েছেন। তা থেকেই কখনও কখনও মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এদিনের ঘটনার পিছনেও কারণ সেটাই।”

এবিষয়ে তিনি আরও বলেন, মালদা মেডিকেলের পরিকাঠামো আরও বাড়ানোর কাজ চলছে। চিকিৎসক কম থাকলেও তাঁরা মানুষের স্বার্থে কাজ করে চলেছেন।

 


শেয়ার করুন
  • 7
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

one × 5 =